পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, পঞ্চমাংশ, উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থ কাণ্ড, তৃতীয় খণ্ড).djvu/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশুপ গোত্র দত্তবংশ । ] উত্তরপ্লাষ্ট্রীক্স কাশ্লস্থ-কাণ্ড Soసి Francaise De Physique নামক বৈজ্ঞানিক সমিতির গোচরীভূত হয়। প্রবন্ধ মধ্যে মৌলিক সত্য পাইয়া উক্ত সমিতি তাহা গ্রহণ করেন ও তাহা Journal De Physique নামে উক্ত সমিতির পরিচালিত পত্রিকায় প্রচার করেন। জগদিন্দু রায় মহাশয় এই মৌলিক গবেষণাটি বৈজ্ঞানিক জগতে প্রচারিত করিবার নিমিত্ত প্রথমতঃ এসিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল এর কর্তৃপক্ষদিগের শরণাপন্ন হইলেন, কিন্তু তাহার এ বিষয়ে কর্ণপাত করিলেন না। পরে তিনি লণ্ডন নগরীস্থিত রয়াল সোসাইটির সভাপতি লর্ড রেলের নিকট র্তাহার প্রবন্ধটা পাঠাইলেন। প্রবন্ধটা বড় সুতরাং তাছার পাঠের অবকাশ নাই, অন্ত কোনও সভ্যের সহিত পরিচয় থাকিলে তাহার সাহায্যে রয়াল সোসাইটীতে এই প্রবন্ধটা উত্থাপন করিবেন, এই মৰ্ম্মে জগদিন্দু রায় মহাশয়কে তিনি একখানি পত্র দেন। কিন্তু অন্ত কোনও সভ্যের সহিত জগদিন্দুর পরিচয় না থাকায় অগত্যা তাহাকে নিরস্ত থাকিতে হইল। তখন র্তাহার স্মরণ হইল ফ্রান্স দেশে প্যারি নগরীর ‘সোসাইট ফ্রাঙ্কেইস ডি ফিজিক্‌’ নামে যে বিজ্ঞান সমিতি রহিয়ছে, প্রেসিডেন্সি কলেজে কাৰ্য্য কালে উক্ত সমিতির জনৈক সভ্যের সহিত র্তাহীর পরিচয় হইয়াছিল, তাহার নিকট প্রবন্ধটা প্রেরণ করিলে তথায় পঠিত ও গৃহীত হইতে পারে। কাৰ্য্যতঃ তাহাই ঘটিল। অধীনস্থ জাতির গবেষণার ফল রাজার জাতির গ্রাহ ন হইলেও স্বাধীনতাপ্রিয় ফরাসী জাতির নিকট সাদরে গৃহীত হইল এবং তাহ বিজ্ঞানশাস্ত্রে স্থান পাইল। উক্ত গবেষণার পরিপোষকতায় জগদিন্দু আর একটী মৌলিক গবেষণা উদ্ভাবন করিয়া বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের অধিবেশনে পাঠ করেন ও তাহ গৃহীত হইয়াছিল । সাহিত্যপরিষদের বৰ্দ্ধমান ও যশোহরের অধিবেশনে তিনি অনেক গুলি মৌলিক গবেষণার প্রবন্ধ পাঠ করিয়া ছিলেন। সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকায় ও কলে জয়ান নামক পত্রিকায় তাহর অনেক গুলি প্রবন্ধ প্রকাশিত হইয়াiছল । জগদিন্দু বাবু সম্প্রতি কৰ্ম্মক্ষেত্র হইতে অবসর লইয়া ত্রীরামপুরে বাস করিতেছেন । { ১১০ পৃষ্ঠায় বংশলতা দ্রষ্টব্য । ] সেওড়াফুলীর রাজবংশ-কারক। শুকদেব সিংহ উক্ত রাজবংশের এইরূপ কারিক লিখিয়া গিয়াছেন – “মনোহর গ্রহণ যুগ্ম কক্ষবান নিধি। আগে সেই মনে রাজারাম জনাৰ্দ্দনে বিধি । আদি পক্ষ শুষ্ঠ তীয় সধর ধারা পরে। হুতু দান স্বতে গ্রহণ ডাক সরসি ঘরে। আগে মাধে দীপ্ত নিৰ্ম্মল রাঘৰী হরিশআড়। শেষে লেবে শুমি ভুবন নাম পাটুলীতে খড়া। স্বতে গ্রহণ গো বন্দ কুলী ডাকে আমইপাড়া। তাথে আছে আনুয়া জলী চাম্বা ঘনশ্বামী বাড়া । গঙ্গাধর মুন্দর বাৎস্ত বিভা দুই। শেষে কেয়ামপুর করিলা সেটা রঘুর ভাবে থই। মুকুন্দে গোবিন্দ বাস্থ ডাকে ক্ষেমা কুলে। অমুজে দেখিয়ে লভ্য কারফরম মূলে । , দুই ভাইর তনয় ঘোষে দাসে অনুগত। ঘোষ হইতে দাস খড়া ফুলঞ্জের মত। পরবর্তী অংশ ১১১ পৃষ্ঠায় দ্রষ্টব্য । ]