পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, পঞ্চমাংশ, উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থ কাণ্ড, তৃতীয় খণ্ড).djvu/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রঙ্গের জাতীক্স ইতিহাস [ ৮ম অধ্যায়। صحن دخذ هج উক্ত কাগজগুলি সন ১১৯৪ সালে রাজা আনন্দচন্দ্র রায়ের আমলে লিখিত হইয়াছিল। এই বণ্টননাম অনুসারে সম্পত্তি বিভাগ হইবার পর রাজা রঘুদেব রায় সম্পূর্ণরূপে পাটুলির বাটী ত্যাগ করিয়া বঁাশবাড়িয়ায় বাস করিতে লাগিলেন। তাছার দুই ভ্রাত মুকুন্দদেব ও রামকৃষ্ণ প্রাপ্ত সম্পত্তির বিভাগ করিয়া মুকুন্দদেব রায় নয় আনা অংশ লইয়। শিবপুরে ও রামকৃষ্ণ সাত আন অংশ লইয়া রাজহাটে ৰাস করিতে লাগিলেন। অপর দিকে মনোহর রায় ও গঙ্গাধর রায়ের মধ্যে বিভাগ হওয়ায় মনোহর জ্যেষ্ঠ বলিয়। দশ অীন ও গঙ্গাধর ছয় আন অংশ পাইলেন। গঙ্গাধর পাটুলির বাট ত্যাগ করিয়া বালির বাটতে বাস করিতে লাগিলেন। তাহার বংশধরগণ এখনও তথায় বাস করিতেছেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তাহার এক্ষণে সম্পত্তিহীন হইয়াছেন । তথাপি সাধারণতঃ র্তাহার ছয় আনি মহাশয় বলিয়৷ সম্মানিত হইয়া থাকেন । রাজা মনোহর রায় সেওড়াফুলিতে বাস করির দক্ষিণ দেশের সম্পত্তি পরিদর্শন করিতেন। কিন্তু তিনি পাটুলির বাটীর বাস ত্যাগ করেন নাই। শেষ পৰ্য্যস্ত তাহার বংশধরগণই পাটুলিতে বাস করিতেন । রাজা মনোহর রায় একজন খ্যাতনাম কৃতী পুরুষ ছিলেন । তিনি পূৰ্ব্ব সম্পত্তির আয়বৃদ্ধি ও অনেক নূতন সম্পত্তি ক্রয় করিয়াছিলেন । তিনি বহু দেবদেবীর প্রতিষ্ঠা ও তাহদের সেবা পরিচালন জন্ত দেবোত্তর সম্পত্তি অর্পণ করিয়াছিলেন ও পূৰ্ব্বপ্রতিষ্ঠিত বহু দেবদেবীর জন্তও সম্পত্তি নির্দেশ করিয়া গিয়াছেন। হুগলির কালেকটরী হইতে গৃহীত একখানি দেবোস্তুর সম্পত্তির তায়দাদের নকলে দেখা যাইতেছে, ৬০ দফায় প্রদত্ত দেবোত্তর সম্পত্তি মধ্যে রাজা রাঘবেন্দ্র দত্ত প্রদত্ত ১৮৩৬ সালের ও ১০৪০ সালের ২ দফা দেবোত্তর, বাসুদেব দত্তের ১ দফা এবং রাজা মনোহর দত্তের প্রদত্ত ১১২৫ সাল হইতে ১১৫০ সাল পর্য্যস্ত ৩৮ দফা দেবোত্তর এবং রাজ রাজচন্দ্র দত্তের প্রদত্ত ১১৫১ সাল হইতে ১১৭৮ সাল পর্য্যস্ত ১৯ দফা দেবোত্তরের বিবরণ লিপিবদ্ধ রহিয়াছে । ইহা ব্যতীত অন্তান্ত কত জেলায় কত দেবোত্তর সম্পত্তি প্রদান করিয়াছিলেন, MBBB BBB BB BBB BBS BB BB S BBggBBB BBBBB BBBS BBBB BBBS দেবের মন্দির, কলিকাতার নিকট কাশীপুরে চিত্রেখর সর্বমঙ্গলার মন্দির ইত্যাদি শেওড়াফুলীর রাজবংশের অসংখ্য কীৰ্ত্তি বিদ্যমান রহিয়াছে। একদ। মনোহর রায় রাজস্ব দায়ে মুর্শিদাবাদে করারুদ্ধ হইয়াছিলেন । তৎকালে নৰদ্বীপাধিপতি রাজা কৃষ্ণচন্দ্রও এজন্ত কারারুদ্ধ ছিলেন। রাজা মনোহর রায়ের পক্ষ হইতে র্তাহার কৰ্ম্মচারিগণ ৫০,০০০ টাকা রাজস্ব উপস্থিত করিলে রাজা মনোহর রায় উক্ত টাকায় প্রথমে ব্রাহ্মণের কারামুক্তির ব্যবস্থা করিতে বলিলেন । এইরূপে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র কারামুক্ত হইলেন। নবাব এই সংবাদে রাজা মনোহর রায়ের ব্রাহ্মণভক্তির পরিচয় পাইয়৷ র্তাহাকেও মুক্তি দিলেন এবং তাহার নিঃস্বর্থে পরোপকারের স্মৃতিচিহ্ন স্বরূপ একটা মাণিক উপহার দিলেন। উক্ত মাণিক সম্প্রতি দ্বিখণ্ডিত ও স্বর্ণমণ্ডিত স্ট্রয় কুমার সুধীরচন্দ্র রায়ের নিকট আছে ।