পাতা:বঙ্গের প্রতাপ-আদিত্য - ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sty প্ৰতাপ-আদিত্য °3म আপনাকে দিতে পারি। কিন্তু কাল সমস্ত দিন যদি কোনও রকমে মানসিংহের গতিরোধ ক’রতে পারি, স্থির ব’লছি মহারাজ, পরশু প্ৰভাতে আমি তার সৈন্য-স্রোত ফিরিয়ে দেব । T প্ৰতাপ। বিশ হাজার ! যথেষ্ট-যথেষ্ট-সুৰ্য্যাকান্ত ! তুমি আর তোমার গুরু-দুজনে দশ হাজার নাও । আমােয দশ হাজার দাও । যাও শঙ্কর, তুমি এই রাত্রে দশ ক্রোশের মধ্যে সমস্ত গ্রামে আগুন দাও । গ্রামবাসিদের ধূমঘাটে পাঠাও। আমি পেছন থেকে মোগলের রসদ মা’রতে চ’ললুম। দেখো, সাবধান ! সমস্ত দেশের মধ্যে মানসিংহ যেন তণ্ডুলকণা না পায়। " ক্ষুধার যাতনায় মোগল সৈন্য কেমন লড়াই করে, একবার দেখবে এস । বেগে প্ৰস্থান শঙ্কর । ঈশ্বর ! প্ৰতাপ-আদিত্যকে চিরজীবী করুন, *[। সমস্ত ভারত যেন তার পদানত হয় । ]* সূৰ্য্য। দু’লক্ষ বীরের ক্ষুধানলে আজ দাবানল প্ৰজ্বলিত ক’রবউভয়ে । জয়—যশোরেশ্বরীর জয় ! l", চতুর্থ দৃশ্য যশোহর-প্ৰসাদ-বসন্ত রায়ের মািতল বসন্ত রায়, ছোট রাণী ও সুৰ্য্যকান্ত ছোটরাণী । য’্যা । এমন বিশ্বাসঘাতকতা কে করলে ! আমারই চাকসিরি দিয়ে আমার ঘরে শত্রু প্ৰবেশ করা’লে! এমন কুলাঙ্গার কে ? বসন্ত । কে আর জেনে কােজ নেই ছোটরাণি । মা যশোরেশ্বরীকে ধন্যবাদ দাও যে, এবারেও তার কৃপাৰ্য বিপদ থেকে মুক্তিলাভ ক’রেছি। সুৰ্য্য। পায়ের ধূলো দিন রাণী-মা ! আপনার আশীৰ্বাদে বড় বিপদ থেকে মুক্তিলাভ ক’রেছি! আমাদের কলঙ্ক বা খাবার আর স্থান ছিল না। চোখে ধূলো দিয়ে জুয়াচোর মানসিংহ আর একটু হ’লে আমাদের