পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বারাণসী ও গোরক্ষপুর বিভাগ।


ç thua rhwng gop-rigwr y drefere?"w"*** --------- m -om“- ங்

কাশী ব্যতীত গাজীপুর, মির্জাপুর, জৌনপুর এবং বালিয়া—এই চারিট জেলা বারাণসী বিভাগের অন্তভূক্ত। কাশীর পরই গাজীপুরের উল্লেখ করিতে হয়; কারণ, গাজীপুরে বাঙ্গালীর বাস বড় অল্পদিন নহে। গাজীপুরে গোরাবাজার সন্নিহিত গঙ্গার উপকূলস্থিত “সিদ্ধেশ্বর নাথের মন্দির” নামে একটী অতি পুরাতন দেবালয় আছে। এরূপ জাগ্ৰত দেবতা, এমন পবিত্র স্থান, এমন সুরম্য দেবালয়, স্থানীয় হিন্দুগণের এমন উৎসব স্থল। গাজীপুরে আর নাই। প্রবাসী বাঙ্গালীর ইতিহাসের অভাবে কত কীৰ্ত্তিই যে লুপ্ত হইয়াছে তাহার ইয়াত্তা নাই। গাজীপুরের এই মন্দির যে বাঙ্গালীর প্রতিষ্ঠিত তাহা ক্ৰমে কিম্বদন্তীতে পরিণত হইয়াছে। মন্দির শীর্ষস্থ বঙ্গাক্ষরে খোদিত শিলালিপি, প্ৰতিষ্ঠাতার স্মৃতি বহন করিতেছিল, কিন্তু অল্প দিন হইল উহা ভাঙ্গিয়া পড়িয়া গিয়াছে। স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তিগণ এখনও তাহার সাক্ষ্য প্ৰদান করিতেছেন বলিয়াই ইহা যে বাঙ্গালীর কীৰ্ত্তি তাহা জানা যায়। এরূপ জনপ্ৰবাদ আছে যে, বসু উপাধিধারী কোন বাঙ্গালী বণিক বাণিজ্যতরী সাজাইয়৷ এই স্থানের নিকট দিয়া যাইতে যাইতে জলমগ্ন হইয়াছিলেন। বণিক অবশেষে অনেক কষ্ট উপকূলে উঠতে সমর্থ হন এবং হতাশহীদয়ে তথায় সমস্ত দিবানিশি পড়িয়া থাকেন। রজনীতে তিনি স্বপ্ন দেখেন যেন মহাদেব স্বয়ং আসিয়া তীহাকে বলিতেছেন, “ভয় নাই, কল্য প্ৰাতে অন্বেষণ করিলে তোমার নষ্টদ্রব্য পুনঃ প্রাপ্ত হইবে, কিন্তু এই স্থানে সিদ্ধেশ্বরনাথের মন্দির প্রতিষ্ঠিত করিতে ভুলিও না।” বলা বাহুল্য যে স্থলে নৌকা ডুবিয়াছিল তথা হইতে বণিক দ্রব্য উদ্ধার করিয়া বাণিজ্যে বহির্গত হন এবং অনতিকাল মধ্যে এ স্থানের বন কাটাইয়। উক্ত দেবালয় প্রতিষ্ঠিত করেন। গঙ্গার এই স্থান এখনও নৌকা গমনাগমনের পক্ষে সুবিধাজনক নহে। স্বৰ্গীয় ডাঃ সূৰ্যকুমার ! সৰ্বাধিকারী এবং কাশীনাথ বিশ্বাস (সব জজ) মিউটিনির পূর্বে এখানে ছিলেন (লক্ষ্মেী অংশে দ্রষ্টব্য)। এখানকার বৈদ্যবংশীয় রায় পরিবার ও মিত্ৰ গোষ্ঠী বহু পুরাতন। গাজীপুর ষ্ট্যাম্প ও ওপিয়ম ডিপার্টমেণ্টে অনেক বাঙ্গালী বহুকাল হইতে পুরুষানুক্ৰমে চাকরী করিতেছেন। উক্ত রায় বংশীয় বাৰু নীলমাধব রায় কাণপুরের