કરે বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । কীড়গঞ্জে বাস করিত। বিদ্রোহের সময় তাহারা কীডগঞ্জ বস্তীতে অগ্নিসংযোগ করিয়া লুটতরাজ আরম্ভ করে। এলাহাবাদের বিদ্রোহ দমনকারী কর্ণেল নীল এই পল্লী গুণ্ডার আডডা বলিয়া হুকুমজারি করেন যে, কেল্লার এত নিকটে বস্তি রাখিবার কোন প্রয়োজন নাই। তাঁহাতে কীডগঞ্জের বহুদূর পর্যন্ত স্থান বাজে আপ্ত হইয়া যায়। সেই সঙ্গে তৎকালীন বাঙ্গালী ধনকুবের ৬/ রামধন মুখোপাধ্যায়ের প্রাসাদও নষ্ট হয়। এই সীমার মধ্যে পণ্ডিত মহাশয়দিগের বাড়ী ছিল। বেণীমাধব বাবু ইতিপূর্বে অগ্নিসংযোগের সংবাদ পাইয়াই পরিবারবর্গ আহিয়াপুর নামক পল্লীতে স্থানান্তরিত করেন। তঁহার বাড়ী ক্রোক করা হইল বটে, কিন্তু তিনি এলাহাবাদ আর্সিনালের কমাণ্ডাণ্ট কাপ্তেন রাসেলের নিকট হইতে sistefas it facts (loyalty certificate) is $33 ক্ষতিপূরণের অ প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন। কাপ্তেন রাসেল লিখিয়াছিলেন :- "Certified that Babu Beni Madhab Bhattacharjee, * * * is a loyal servant of Government and is in no way connected with the mutiny or rebellion.' এই দুর্দিনে যেমন সরকার বাহাদুরকে ব্যতিব্যস্ত হইতে হইয়াছিল, নিরীহ প্ৰজাকুলকেও তদ্রুপ বিদ্রোহ দমিত হইবার পরও বহুবিধ ক্লেশ ও অসুবিধা ভোগ করিতে হইয়াছিল। প্ৰয়াগধাম হিন্দুর মহাতীৰ্থ ; বিশেষতঃ এখানে গঙ্গা যমুনার সঙ্গম স্থলে অবগাহন করিলে জন্মজন্মান্তরের পাপমোচন হইবে, এই বিশ্বাসে দলে দলে হিন্দু নরনারী কত স্বর্থত্যাগ করিয়া বহুদূর হইতে আগমন করিয়া থাকে। কিন্তু এই পুণ্যতীর্থ সে সময় জনসাধারণের পক্ষে নিষিদ্ধ হইয়াছিল। গবৰ্ণমেণ্টের ছাড়পত্র ব্যতীত কাহারও সঙ্গমে স্নান করা সম্ভব হইত না । এতদ্বারা বিদেশী হিন্দু সিপাহীরা জব্দ হইয়াছিল কি না, বলা যায় না। সে যাহা হউক, এই সময় অর্থাৎ ১৮৫৮ অব্দে বেণীমাধব বাবু গবৰ্ণমেণ্টের নিকট হইতে নিম্নলিখিত ছাড় পত্র প্রাপ্ত হইয়াছিলেন :- "This is to certify, that Babu Beni Madhab Bhattacharjee 弗 事 攀 、 is a man of character and respectability deserving the indulgence of receiving a pass to bathe at the junction of the rivers.' বলা বাহুল্য, অতি সম্রােন্ত, চরিত্রবান এবং গবৰ্ণমেণ্টের প্রিয়পাত্র ব্যতীত কেহ
