পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ybr বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । পুতিয়া তাহার উপর এক টুকরা কাষ্ঠ রাখিতেন এবং কবরস্থান হইতে বাড়ী ফিরিয়া তাহার উপর পুস্তক রাখিয়া পড়া করিতেন। এই সময় তিনি অনেকগুলি DBDDDDSDBB BBDBB gg BBBD DD DBBDB BBD Y BDDDDL চিবাইলে তাহার ঘুম ভাঙ্গিয়া যাইত। বাল্যকালে অর্থাভাবে তিনি জামা কাপড় ছিড়িয়া গেলে ক্ৰমাগত তাহা স্বহস্তে সেলাই করিয়া পরিতেন। সময়ে সময়ে র্তাহার বন্ধুরা র্তাহাকে উপহাস করিলে তিনি তাহার স্বাভাবিক হাস্যমুখে বলিতেন—“ছোঁড়া ত দেখা যাইতেছে না ; দেখ দেখি কেমন পরিষ্কার সেলাই করিয়াছি।” বাস্তবিক সীবন কাৰ্য্যে অবিনাশবাবু বড় দক্ষ ছিলেন। শৈশব হইতে অবিনাশবাবুর মাতৃভক্তি অতিশয় প্রবল ছিল, মাতৃ-আজ্ঞা তিনি দৈববাণী স্বরূপ এবং মাতৃবাক্য বেদবাক্য স্বরূপ জ্ঞান করিতেন। র্তাহার কাছে তঁহার গৃহে পরিচিতের যেমন সন্মান ও আদর, অপরিচিতেরও তেমন সম্মান ও আদর । ধনীরও যেমন দরিদ্রেরও তেমন সম্মান ও আদর, বরং দরিদ্রের বেশী। প্ৰতিদিন প্ৰাতে ও সন্ধ্যাকালে তঁহার ঔষধালয়ে তিনি সমাগত দীন দরিদ্র রোগীদিগকে ব্যবস্থা প্ৰদান করেন। কতদিন দেখা গিয়াছে যে সেই সময়ে কোন ধনীর বাটী হইতে চিকিৎসার জন্য ডাকিতে আসিলে তিনি বলিয়াছেন যে এই সকল লোক আমার নিকট চিকিৎসিত হইবার জন্য কত দূর দেশ হইতে আসিয়াছে উহাদিগকে না দেখিয়া আমি এখন কোথাও যাইতে পারিব না । খেরি জেলার অন্তৰ্গত পানাপুর নামক গ্রামে প্ৰায় ৩৫ হাজার টাকা ব্যয় করিয়া অবিনাশবাবু একখানি বড় বাড়ী সমেত এক খণ্ড জমি খরিদ করিয়াছেন এবং তাঁহাতে একটী প্রিভেনটােরিয়ম (রোগ-প্ৰতিষেধ। ভবন ) খুলিয়া ক্ষয়রোগগ্ৰস্ত ব্যক্তিদিগের থাকিবার জন্য নানাপ্রকার সুবন্দোবস্তও করিয়াছেন। যে সকল মধ্যবিত্ত গৃহস্থ অর্থাভাবে আলমোড়া বা ধরমপুর স্বাস্থ্যনিবাসে যাইতে অসমৰ্থ, তাহারা অবিনাশবাবুর প্রতিষ্ঠিত এই প্ৰিভেনটােরিয়মের আশ্রয় গ্ৰহণ করিলে এবং " অবিনাশবাবুর ন্যায় সুদক্ষ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকিলে অপেক্ষাকৃত অল্পব্যয়ে রোগমুক্ত হইতে পারেন এরূপ আশা করা যায়। তিনি সিমলা পাহাড়ের নিকট ধরমপুর ক্ষয়রোগ-চিকিৎসা-আশ্রমে অনেকদিন পৰ্যন্ত বিনাবেতনে রোগীদিগের সেবায় নিযুক্ত ছিলেন । যখন লর্ড হার্ডিং গবর্ণর জেনারেল বাহাদুর ঐ আশ্রম