38 । लाछद्ध सांश्gिद्ध लाक्रांकी। ১৮৯৩ অব্দে তিনি গভর্ণমেণ্ট কর্তৃক “রায় বাহাদুর’ উপাধিতে ভূষিত হন; ১৮৯৭ অব্দের জুলাই মাসে এলাহাবাদ ভলািন্টয়ার রাইফ্ল কোরের সার্জন লেফটেনাণ্ট এবং মেডিকেল অফিসারের পদে উন্নীত হন; ১৮৯৯ অব্দের মার্চ মাসে অস্থায়ী সিভিল সার্জনের পদ প্ৰাপ্ত হন; ১৯০০ অব্দের শেষভাশে আউধ লাইট হস ভলণ্টিয়ায় কোরের সার্জন ক্যাপ্টেনের পদে অভিষিক্ত হন; ১৯০৩ অব্দে স্থায়ী সিভিল সার্জনের পদলাভ করেন এবং পরে বড়লাট বাহাদুরের অন্যতম সন্মানিত এসিষ্টাণ্ট সার্জন নিযুক্ত হন। তিনি ফ্রামেসন সম্প্রদায়ের ভিন্ন ভিন্ন সম্মানের পদে অধিষ্ঠিত আছেন। তিনি নানাকাৰ্য্যে ব্যাপৃত থাকিলেও চিকিৎসা-বিজ্ঞানের কাৰ্য্য ও সাহিত্যসেবা করিয়া থাকেন। ইংরাজিতে তিনি মধ্যে মধ্যে প্ৰবন্ধাদি লেখেন। তাহার সাময়িক প্ৰবন্ধগুলি অভিজ্ঞ সমাজে আদৃত হয়। বঙ্গসাহিত্যে যে তঁহার অনুরাগ নাই তাহা নহে; তিনি নানাকার্যোর মধ্যেও বঙ্গভাষার মাসিকপত্ৰ পাঠ । করিয়া থাকেন এবং এলাহাবাদে অবস্থানকালে স্থানীয় প্ৰয়াগব্যঙ্গসাহিত্য মন্দিরে অর্থ, পুস্তক ও সহানুভূতিদানে সাহায্য করিতেন। যুরোপ হইতে কোন বিখ্যাত চিকিৎসক ভারতে আসিলে তঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিবার এবং কোন সুকঠিন অভিনব অস্ত্ৰচিকিৎসার সংবাদ পাইলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইবার সুযোগ তিনি ত্যাগ করেন না। এসম্বন্ধে তিনি অনেক শিক্ষাভিমানীর শিক্ষাস্থল। অস্ত্ৰচিকিৎসায় তাহার এতদূর সুনাম আছে যে, লোকে বহুদূর দূরান্তর হইতে আসিয়া তাহার চিকিৎসাধীন হয়। চক্ষু-চিকিৎসায় ডাক্তার হলের যেরূপ প্ৰাদেশিক খ্যাতি অস্ত্ৰ-চিকিৎসায় ডাক্তার ওহদেদারের তদ্রুপ। বড় বড় ডাক্তারগণ কঠিন বিষয়ে তাহার পরামর্শ গ্ৰহণ করেন। আমরা ‘হিন্দুস্থান রিভিউ” এ পড়িয়াছি যে তিনি হাইড়োসীলের (জল দোষ ) অস্ত্ৰচিকিৎসার এক অভিনব প্ৰণালী উদ্ভাবন করিয়াছেন ; এ পৰ্যন্ত যে উপায়ে অস্ত্ৰ প্ৰয়োগ ও চিকিৎসা হইতেছিল তঁাহার প্ৰণালী তদপেক্ষা সরল ও উন্নততর। ডাক্তার ওহদেদার বড়বাকি জেলার সিভিল । সার্জন হইয়া যান। এই পদেও তাহার যশ অল্প হয় নাই। এক্ষণে তিনি পেন্সন লইয়া অযোধ্যাপ্রদেশপ্রবাসী হইয়াছেন। প্রাচীন রাজধানী লঙ্গেী এক্ষণে র্তাহার কাৰ্য্যক্ষেত্র হইয়াছে। যে সকল সদগুণের অভাবে ভারতীয় অনেক জাতি ঘরে বাহিরে লাহিত এবং ইতিহাসের পৃষ্ঠায় কলঙ্কিত, সেই সকল দুলৰ্ভগুণ র্তাহাতে বর্তমান আছে। সৎ
