ගනු8|i2| || || లిపి ‘প্রবাসী বাবু সতীশচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কাশীপ্রবাসী বাবু কালীপদ মৈত্র বি,এ, প্রমুখ অনেকের নাম উল্লেখ যোগ্য। প্ৰয়াগ বঙ্গ সাহিত্য মন্দিরের অন্যতম হিতচিন্তক স্বৰ্গীয় দীননাথ গঙ্গোপাধ্যায়। মহাশয় বৃদ্ধ বয়সেও ইহার উন্নতির জন্য পরিশ্রম করিয়া গিয়াছেন। চব্বিশ । “পরগণার অন্তৰ্গত হালিসহর নিবাসী স্বগীয় গঙ্গোপাধ্যায় মহাশয় ভারতের নানাস্থানে প্রবাস বাস করিয়াছিলেন। কিন্তু অধিকাংশভাগ প্রয়াগ এবং কাশীতেই অতিবাহিত করিয়াছিলেন। তঁহার কৰ্ম্মবহুল জীবনের কথা অল্প লোকেই জানে না। তিনি একজন নামজাদা লোক না হইলেও বঙ্গের প্রখ্যাত লোকদিগের মধ্যেও অনেকে তঁহার মত সমস্ত জীবন সাধারণের হিতকর কাৰ্য্যে লিপ্ত থাকিতে পারেন নাই । তিনি নীরবকৰ্ম্মী ছিলেন বলিয়া তাহার নাম সাহিত্যের গণ্ডী অতিক্রম করে নাই । তিনি পঠদ্দশায় কবিবর ঈশ্বরচন্দ্ৰ গুপ্তের সংবাদ প্রভাকরে । কবিতা এবং পাদরিগণ পরিচালিত অরুণোদয় পত্রে গদ্য প্ৰবন্ধ লিখিতে আরম্ভ করেন। বিদ্যালয়ে শিক্ষা সমাপ্ত হইবার পর তিনি দুইজন বন্ধুর সহিত কাশী গমন করেন। তখন কেবল রাণীগঞ্জ পৰ্য্যন্ত রেল হইয়াছিল, বাকীপথ এক্কা যোগে অতিক্রম করিতে হইয়াছিল। কাশীতে আসিয়া তাহার ভ্রমণ বৃত্তান্ত এবং কাশীস্থ মহারাষ্ট্রী ও অন্যান্য লোকদিগের আচার ব্যবহার সম্বন্ধে প্রভাকর পত্রে প্ৰবন্ধ লিখিয়াছিলেন। কিছুদিন কাশীতে থাকিয়, যখন হালিসহর-নিবাসী শ্ৰীযুক্ত উমাচরণ মুখোপাধ্যায় Camel Corps নামক পল্টনের গোমস্ত হইয়া ভ্ৰমণে বহির্গত হন, তখন দীননাথ বাবু তঁহার সঙ্গে নানাস্থানে পরিভ্রমণ করেন। বিখ্যাত তাত্যাটোপীকে ধরিবার জন্য এই পল্টন গঠিত হয়। ইহা অযোধ্যা হইয়া রাজপুতানা অঞ্চলে গমন করে। দীননাথ বাবু তথা হইতে প্ৰত্যাগমন পূর্বক এলাহাবাদে চাকরী গ্ৰহণ করিয়া দারগঞ্জে অবস্থিতি করেন। এই সময়ে তাহার “বিবিধ দৰ্শন” কাব্য রচিত হয় । তিনি ১৮৬৫ সালের মে মাসে এটাওয়া বদলি হন ও তথায় কয়েকজন পদস্থ শিক্ষিত ব্যক্তির সাহায্যে একটি সাহিত্যসভা প্রতিষ্ঠিত করেন। এই সভায় তিনি ধৰ্ম্ম ও সমাজ সংস্কার সম্বন্ধে অনেকগুলি বক্তৃতা করিয়াছিলেন। তৎসমুদয় আলীগড় ইনষ্টিটিউটু গেজেটে প্ৰকাশিত হইত। এটাওয়া হইতে তিনি সংবাদপ্রভাকর ও প্রয়াগদূতে প্ৰবন্ধাদি
