ଐଞ୍ଜୟ କ୍ଷୁଟୀ | | dvy গোস্বামীর তিরোধানের পর বৃন্দাবনে আগমন করেন। বৃন্দাবনে আগমনের পর শ্ৰীজীবগোস্বামীর নিকট তাহার দীক্ষা হয় এবং তঁহারই নিকট তিনি বৈষ্ণবশাস্ত্ৰ অধ্যয়ন করেন। রূপসনাতনের ন্যায় শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্যও দীর্ঘজীবী এবং রূপে অতুলনীয় ছিলেন। প্ৰায় দ্বাদশ বৎসর বৃন্দাবন প্ৰবাসের পর ( প্ৰায় ১৫২৩-২৪ শকে ) তিনি সহপাঠী নরোত্তম ঠাকুর ও শ্যামানন্দ কবিরাজের সহিত বৈষ্ণবশাস্ত্ৰ সমূহ লইয়া বঙ্গদেশে ও উৎকালখণ্ডে প্রচার করিতে গমন করেন। পথে বনবিষ্ণুপুরের রাজা বীরহান্ধীর কর্তৃক নিযুক্ত দস্যগণ দ্বারা গ্রন্থাবলী লুষ্ঠিত হইলে তিনি গ্রন্থোদ্ধার মানসে বিষ্ণুপুরে অবস্থিতি করিয়া দুৰ্দান্ত মল্লরাজকে ধৰ্ম্মোপদেশে শান্ত সৎস্বভাব এবং পরম বিষ্ণুভক্ত করেন। পরে এঈ প্রবলপ্রতাপ রাজা বীরহান্ধীরের প্রভাবে ও সহায়তায় তিনি বৈষ্ণবধৰ্ম্মের বহুল প্রচারে সমর্থ হইয়াছিলেন। রামপুর বোয়ালিয়ার দশক্রোশ দূরে অবস্থিত গড়েরহাট পরগণার অন্তৰ্গত খেতরী গ্রাম। খেতরীর যে প্ৰসিদ্ধ মেলা হয় এবং যে মেলায় ভারতের যাবতীয় চৈতন্যভক্ত বৈষ্ণবগণের সহিত ব্ৰজমণ্ডলের বৈষ্ণবগণ নিমন্ত্রিত হন। সেই মেলার যিনি প্ৰবৰ্ত্তক সেই স্বনামখ্যাত পরম বৈষ্ণব নরোত্তম ঠাকুর খেতরীর রাজা কৃষ্ণানন্দ দত্তের পুত্র তিনি শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্য, লোকনাথ গোস্বামী এবং জীব গোস্বামীর সমকালিক। ষোড়শ বর্ষ বয়ঃক্রমকালে নরোত্তম ঠাকুর, বৃন্দাবন প্রবাসী হন। শ্যামানন্দ কবিরাজ এবং শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্য যখন বৈষ্ণব গ্ৰন্থ লইয়া দেশে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করেন তখন তিনিও তঁহাদের সঙ্গে গমন করেন। তিনি গড়েরহাটে আসিয়া যে সকল হরিভক্তি উদ্দীপক নবোদ্ভাবিত কীৰ্ত্তনের সুরে সংগীত রচনা ৷ করেন, তাহাতে গরাণহাটী কীৰ্ত্তনের সৃষ্টি হয়। শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্য যেমন রাজা বীরহাম্বারকে অসৎপথ হইতে সৎপথে আনয়ন করিয়াছিলেন, নরোত্তম ঠাকুর ও তদ্রুপ রাজমহলের দুর্দান্ত ও প্ৰজাপীড়ক জমিদার চাদরায়কে সাধুপথে আনয়ন করিয়াছিলেন। এই নরোত্তম ঠাকুর এবং শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্যের জীবনচরিত্র যিনি শ্ৰীনিবাসচরিত, নরোত্তমবিলাস, ভক্তিরত্নাকর প্রভৃতি গ্রন্থে লিপিবদ্ধ । করিয়া গিয়াছেন, তাহার নাম ঘনশ্যাম চক্ৰবৰ্ত্তী। তিনি সুপ্ৰসিদ্ধ ভাগবত । টীকাকার বিশ্বনাথ চক্ৰবৰ্ত্তীর শিষ্য এবং নদীয়াবাসী জগন্নাথ চক্ৰবৰ্ত্তীর পুত্র। তিনি বৃন্দাবনে কিছুকাল বাস করিয়া শ্ৰীৰূপ গোস্বামী প্রতিষ্ঠিত গোবিন্দজীর
