পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৩২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । \\90ه সময় প্রভূত ক্ষতি স্বীকার করিয়াও খুনী মােকদ্দমার এবং অপরাপর গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত নিরপরাধীর মুক্তির জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করিতেন। এতদ্ব্যতীত যে কোন অবস্থায় হউক, প্ৰকৃত বিপন্ন ব্যক্তিকে যথাসাধ্য সাহায্য প্রদানে তিনি কখনও কুষ্ঠিত হইতেন না। স্থানীয় জনহিতকর প্রত্যেক সদনুষ্ঠানেই । তিনি অগ্ৰণী ছিলেন । প্রবাসী বাঙ্গালীদিগের মধ্যে ননিবাবুর বিশেষত্ব তাহার সাহিত্যসেবায়। ওকালতী ব্যবসায়ে সৰ্ব্বদা ব্যস্ত থাকিয়াও তিনি আন্তরিক যত্নসহকারে গত এক চতুর্থাংশ শতাব্দীর অধিককাল মাতৃভাষার সেবা করিয়া গিয়াছেন। তিনি একজন চিন্তাশীল সান্দৰ্ভিক এবং কবি ছিলেন। র্তাহার পাণ্ডিত্যপূর্ণ ভাবােদ্দীপক নানাবিধ সন্দর্ভ ও কবিতাবলী শ্ৰীযুক্ত যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ সম্পাদিত সুবিখ্যাত। “আৰ্য্যদর্শন”, “সুরভি ও পতাকা” প্রভৃতি প্ৰথম প্ৰকাশিত সাময়িক ও সংবাদপত্রে প্ৰকাশিত হইত। ঐ সকল পত্রে প্রকাশিত “কম্বমুনি” ও “প্রস্পেরো”, “সঙ্গীত ও উপাসনা”, “আমার স্বাধীনতা”, “উনবিংশ শতাব্দী ও কলিযুগ” প্রভৃতি এবং বিধবাবিবাহ ও হিন্দু বালবিধবাসম্বন্ধীয় রচনাবলী বঙ্গসাহিত্যে বেশ উচ্চ স্থান পাইবার যোগ্য। নানিবাবু স্বীয় নাম গোপন রাখিয়া এই সকল প্ৰবন্ধ এবং প্রথম প্রকাশিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গল্প ও উপন্যাসগুলি “পরিব্রাজক” এই নাম দিয়া প্ৰকাশিত করেন। এইজন্য তিনি ২৫/৩০ বৎসর ধরিয়া সাহিত্যসেবা করিলেও, বঙ্গীয় পাঠকগণের মধ্যে অনেকেই বহুদিন তঁহার নাম জানিতেন না। তঁহার প্রণীত “অমৃতপুলিন” উপন্যাসের দ্বিতীয় সংস্করণকালে তাহার বিশিষ্ট বন্ধু ভূতপূৰ্ব্ব আৰ্যদর্শনের সহকারী সম্পাদক শ্ৰীযুক্ত যোগেন্দ্ৰচন্দ্র বসু মহাশয়ের অনুরোধে স্বীয় নাম প্ৰকাশ করেন এবং “যুগলপ্ৰদীপ’ প্রভৃতি পরবর্তী গ্রন্থগুলি নিজ নামে প্রকাশ করিতে থাকেন। নানিবাবু যে কেবল বঙ্গভাষার একজন সুলেখক ছিলেন তাঁহাই নহে, তঁহার ইংরেজী ভাষাতেও যথেষ্ট অধিকার ও বাগিতা ছিল। তিনি ইংরেজী বক্তৃতা দ্বারা মৈনপুরী-অঞ্চলবাসী ইংরেজ ও দেশীয় শিক্ষিত ব্যক্তিগণের মধ্যে প্ৰতিষ্ঠাভাজন হইয়াছিলেন। ১৮৮৯ সালে তিনি একদিন “মৈনপুরী একম্যান ক্লাবে” কোন অধিবেশনে বিধবাবিবাহ সম্বন্ধে একটি ইংরেজী প্ৰবন্ধ পাঠ করেন। এলাহাবাদ হাইকোটের মাননীয় বিচারপতি শ্ৰীযুক্ত একম্যান সাহেব তখন মৈনপুরীর সেসন্স জজ