পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৪২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VORM বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । মন্দিরে গিয়া কালী বাবুর দেখা পাইল। অতঃপর সেই বিশ্বাসী ভৃত্য - নিশ্চিন্ত মনে ফিরিয়া আসিয়া কালীবাবুর পরিবারবর্গকে এক প্রতিবাসী বেণের বাড়ীতে লুকাইয়া রাখিল। এদিকে লাল কিশোরী লাল নামে একজন ষ্টাম্পবিক্রেতা কালীবাবুর সন্ধান পাইয়া মন্দিরে গিয়া পৌছিল। তথায় তখন অন্য কেহ না থাকায় কালীবাবু তাহাকে মন্দিরের ভিতর ডাকিয় তাহার হস্তে পূৰ্ব্বোক্ত অঙ্গুরী ও তিনটি টাকা দিয়া তঁহাকে ‘সা আদিতগঞ্জে’ পণ্ডিত ভবানীন্দীনের বাড়ী পৌছাইয়া দিতে অনুরোধ করিলেন । তাহাই হইল। পণ্ডিতজী তেঁাহাকে সাদরে গ্ৰহণ করিয়া বলিলেন যে, তিনি পূর্ব হইতেই তঁহার জন্য বন্দোবস্ত করিয়া রাখিয়াছিলেন। তিনি কালীবাবুকে অতঃপর পণ্ডিতের মত বেশ মালা ও “পত্ৰা” ধারণ করিয়া বাগানের “বারাদোয়ারীতে” থাকিতে পরামর্শ দিলেন। কালীবাবু তাহাই করিলেন। পণ্ডিত ভবানীদ্দীন মালীকে বলিয়া দিলেন র্তা তার বন্ধু নূতন পণ্ডিতজী তথায় থাকিবেন । পণ্ডিতজী প্ৰত্যহ তঁহার আহার যোগাইতে প্রতিশ্রুত হইলেন। কালীবাবু পণ্ডিতজী ও কিশোরীলালকে সেই উদ্যানে তাহার পরিবারবর্গকে আনিয়া দিতে অনুরোধ করিলেন। কারণ তথায় স্থান যথেষ্ট ছিল এবং উদ্যানরক্ষক বিছানা পত্ৰাদিও যোগাইল । এদিকে মালী ঠাহাকে পূজারী পণ্ডিত ভাবিয়া ধৰ্ম্মোপদেশ বা কথকতা করিতে ধরিয়া বসিল। ক্ষুধার কষ্ট, মানসিক উদ্বেগ এবং সকল প্রকার অশান্তিতে থাকিলেও বাহিরে কিছু প্ৰকাশ ন পায় এজন্য কালীবাবু প্ৰফুল্ল মুখে নানা ধৰ্ম্মকথা আরম্ভ করিলেন। এমন সময় ভয়ানক গোলমাল শুনিতে পাইলেন। তৎক্ষণাৎ ছাদের উপর উঠিয়া ব্যাপার কি দেখিতে গেলেন। পার্থের বাড়ীর একজন ধনী ব্যক্তি সেই গোলমাল শুনিয়া ছাদে উঠিয়াছিল। কিন্তু কিসের গোলমাল ঠিক করিতে না পারিয়া ভাবিল উদ্যানের মালী ও পণ্ডিত বিদ্রোহী হইয়াছে। তাহারা অমনি উদ্যান লক্ষ করিয়া গুলি করিতে লাগিল। বহু কষ্ট। তবে কালীবাবু সিঁড়ি দিয়া নামিতে পারেন । যাহা হউক, ভয়ানক উদ্বেগের সহিত তিনি রাত্রি যাপন করিলেন। রাত্রি প্রভাত হইলে পণ্ডিত ভবানীদীিন আসিয়া বলিলেন ; উস্তানের পার্থেই এক শীতলার মন্দির আছে ; তথায় মেলা বসে, ও বহু লোক সমাগত হইয়া গণ্ডগোল করে। এ অবস্থায় পরিবারদিগকে এখানে আনয়ন করা নিরাপদ নহে। আবস্তিজীর धै भछिन्न খুব নিকটে ছিল। সুতরাং কালীবাবু প্ৰত্যহ একবার তাহাদের