अक्षांशों ॐलों । ©ዓ¢ গবর্ণমেণ্টের ও রেলের দপ্তরগুলিতে বাঙ্গালী কৰ্ম্মচারী আছেন। লক্ষ্মেীয়ের মত বিস্তৃত না হইলেও ফয়জাবাদে একটী ক্ষুদ্র বাঙ্গালী উপনিবেশ গঠিত হইয়াছে। কয়েকজন। এখানে ঘরবাড়ী করিয়া স্থায়ী হইয়াছেন। এখানে বাঙ্গালীর ঔষধালয়ও দুই একটী আছে। তন্মধ্যে রেকাবগঞ্জস্থ “ফেয়ার মেডিকেল হল” উল্লেখযোগ্য। • ১৮৯১ অব্দের সেন্সস-গণনানুসারে ফয়জাবাদ জেলায় ৩৫৩ জন বাঙ্গালী ছিলেন। তখন ফয়জাবাদ কলেজে দুইজন বাঙ্গালী অধ্যাপকও ছিলেন। রীডগঞ্জ নিবাসী বাবু চন্দ্রমোহন মুখােপাধ্যায়, মিয়াগঞ্জ নিবাসী বাবু মহেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ডাক্তার সতীশচন্দ্ৰ গোস্বামী এবং বাবু শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ কয়েকজন পুরাতন প্রবাসীর মধ্যে গণনীয়। ১৯০১ অব্দে যখন “ভূপ্রদক্ষিণ” প্ৰণেতা সুপ্ৰসিদ্ধ পরিব্রাজক ব্যারিষ্টার চন্দ্ৰশেখর সেন মহাশয় ফয়জাবাদ প্রবাসে ছিলেন তখন ইহঁরা স্থানীয় মুন্সিফ বাবু কালীচরণ বসু, বাবু গোরাচাঁদ সিংহ, বাবু কালীনাথ চট্টোপাধ্যায়, বাবু সূৰ্যকুমার মল্লিক, বাবু নৃপেন্দ্রনাথ দত্ত এবং বাবু বিপিনবিহারী চট্টোপাধ্যায়ের সহযোগিতায় “বঙ্গসাহিতাসমাজ” নামে একটী পুস্তকালয় ও পাঠাগার স্থাপন করেন। পুস্তকালয়টি বাঙ্গালীর কালীবাড়ীতে রক্ষিত হয়। চন্দ্ৰশেখর বাবু এই পুস্তকালয়ের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তিনি ইহাতে অনেক ভাল ভাল গ্ৰন্থ ও কাগজ পত্ৰ দান করিয়াছেন । তিনি বহুবর্ষ ফয়জাবাদ প্রবাসে অতিবাহিত করেন। প্ৰায় ৩২ বৎসর হইল, তিনি প্ৰয়াগ প্রবাসে ছিলেন । তথা হইতে “সাহস” নামে একখানি সংবাদপত্ৰ প্ৰকাশিত হইত। চন্দ্ৰশেখর বাবু কিছুকাল তাহার সম্পাদকতা করেন। ইহার বহুঘটনাপূর্ণ জীবনের কিয়দংশ উত্তর-পশ্চিম-প্রবাসী বাঙ্গালীর সংবাদপত্রের সহিত জড়িত থাকায় প্রবাসীর গৌরব বুদ্ধি হইয়াছে সন্দেহ নাই। চন্দ্ৰশেখর বাবু মালদহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। এইখানেই প্ৰথমে স্কুল-মাষ্টারী ও পরে গবর্ণমেণ্টের চাকরী করেন এবং সরকারী কাৰ্য্য পরিত্যাগ করিয়া কলিকাতা মেডিকেল কলেজে প্ৰবেশ করেন। ডাক্তাল্পী শিক্ষার পর তিনি আসামের সীমান্ত প্রদেশে মেডিকেল অফিসার হইয়া কিছুকাল অতিবাহিত করেন। ১৮৮৯ সালে তিনি ইউরোপ ভ্রমণে বহির্গত হইয়া নানা দেশ পৰ্যটন করতঃ ১৮৯১ সালে ব্যারিষ্টারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া পুনরায় ভ্রমণে। বহির্গত হন। বাল্যকাল হইতেই দেশভ্রমণের প্রতি চন্দ্ৰশেখর বাবুর আন্তরিক। অনুরাগ জন্মে। তিনি ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা, চীন, জাপান, সিঙ্গাপুর
