পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৫৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজপুতানা। 8○○ নির্জনে সাক্ষাৎ করিয়া সমস্ত বৃত্তান্ত নিবেদন করেন। বিদ্যাধরের সহিত এই রাজদূতের পরম মিত্ৰতা ছিল, সুতরাং তঁহারই সাহায্যে দূত সফলমনোরথ হইতে সমর্থ হইয়াছিলেন। এ সম্বন্ধে টড মহোদয় লিখিয়াছেন "But the envoy had a friend in the famous Vidyadhar, the Chief Civil Minister of the State, through whose means he obtained permission to make a verbal report standing.” বলা বাহুল্য যোধপুরের কবল হইতে বিকানীর রক্ষা পাইয়াছিল। আর এক সময় একটী ঘটনা হয় ; যোধপুরের রাজা অভয়সিংহ তাহার ভগ্নীপতি অম্বররাজ কর্তৃক নিমন্ত্রিত হইয়া জয়পুরে আগমন করেন। এবং জয়পুরের অন্তৰ্গত “নারাণী” নামক পরগণা প্রার্থনা করেন। জয়সিংহ আমােদের মত্ততায় ভবিষ্যৎ না ভাবিয়া তাহাতে স্বীকার পান। ঐ পরগণায় যে র্তাহার দুৰ্দ্ধৰ্ষ নাগা সৈন্যদল বাস করে তাহা তাহার মনেও হয় নাই। কিন্তু তীক্ষুধী বিদ্যাধর বুঝিয়াছিলেন নারাণা কোন মতেই হস্তান্তর করা যাইতে পারে না । তজ্জন্য তিনি দানপত্রে রাজকীয় মোহর অঙ্কিত করিয়া দিতে বিলম্ব করেন। এদিকে প্ৰধানমন্ত্রী মোহর না করিলে দানসিদ্ধ হয় না । সুতরাং কয়েক মাস পরে কোন কাৰ্য্য উপলক্ষে রাজা যোধপুরে গমন করিলে অভয়সিংহ অম্বররাজের নিকট বিদ্যাধরের দীর্ঘসূত্ৰতা সম্বন্ধে অনুযোগ করেন। স্বরাজ্যে ফিরিয়া জয়সিংহ বিদ্যাধরকে বিলম্বের কারণ জিজ্ঞাসা করিলে তিনি নারাণার গুরুত্ব এবং তাহার অভাবে রাজ্যের ক্ষতি বিশদরূপে বুঝাইয়া দেন। রাজা তখন বিষম চিন্তাযুক্ত হন এবং ঐ পরগণা রক্ষা করিবার উপায় জিজ্ঞাসা করেন। দূরদর্শী বিদ্যাধর বলেন নারাণার সমতুল্য বিষণগড় নামে যোধপুরের এক সম্প্রদায় সেনানিবাসবহুল পরগণা আছে ; সুতরাং নারাণার বিনিময়ে আপনি অভয়সিংহের নিকট বিষণগড় প্রার্থনা করুন ; তাহাতেই ফল হইবে, কারণ যোধপুত্রপতি বিষণগড় কোন ক্রমেই ছাড়িতে পরিবেন না এবং বাধ্য হইয়া নারাণার আশা পরিত্যাগ করিবেন। ফলে তাহাই दहेग्रांछिल। জয়সিংহ জ্যেষ্ঠপুত্ৰ ঈশ্বরীসিংহকে রাজ্যের উত্তরাধিকারী করিয়া পরলোক গমন করেন। কিন্তু যে সৰ্ত্তে তিনি উদয়পুরের রাণার কন্যাকে বিবাহ করিয়াছিলেন।