পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৬৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যভারত এবং মালব । GS S) প্রধান তত্ত্বাবধায়ক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। মহিমবাবু ১৮৪৯ অব্দে ১৪ বৎসর বয়সে বৃন্দাবনে আগমন করেন। এখানে তিনি মৌলবী সাহেবের মক তবে কয়েক বৎসর অধ্যয়ন করিয়া পারস্য ও উর্দু ভাষায় অসাধারণ বুৎপত্তি লাভ করিয়াছিলেন । সিপাহী বিদ্রোহের দুই বৎসর পূর্বে তিনি এখানে লালাবাবুর সদর কাছারীর পেশকার নিযুক্ত হন। বিদ্রোহের সময় তিনি স্বীয় অধীনস্থ সিপাহী ও অন্যান্য লোকজন সংগ্ৰহ করিয়া ছাত্তার ততশীলদারকে সাহায্য করিয়াছিলেন এবং বৃন্দাবন লুণ্ঠন নিবারণার্থ মথুরার ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেবকে যথাসাধ্য সহায়তা দান করিয়া কৃতকাৰ্য্য হইয়াছিলেন । কয়েক বৎসর পরে মহিমবাবু ইংরেজ গবৰ্ণমেণ্টের অধীনে কোন চাকরী করিবার মানসে জমিদারী কাৰ্য্য ত্যাগ করেন। এবং ১৮৬১ অব্দে বেরেলীি সেণ্টাল জেলের দারোগার পদ প্ৰাপ্ত হন । অনন্যসাধারণ অধ্যাবসায় ও প্ৰতিভার গুণে তিনি অচিরেই জেলের অধ্যক্ষ (Jailor ) পদে উন্নীত হন এবং যাবতীয় বিশৃঙ্খলা দূর করিয়া বেরেলীি জেলে শৃঙ্খলা স্থাপন করেন । তঁহার নিঃস্বাৰ্থ কাৰ্য্যদক্ষতায় কর্তৃপক্ষ বিশেষ সন্তুষ্ট হইয়াছিলেন বটে, কিন্তু তাহার অধীনস্থ কৰ্ম্মচারিগণের স্বার্থে আঘাত লাগায় তাহারা প্ৰাচীন কয়েদীদিগের সহিত ষড়যন্ত্র করিয়৷ একদা রজনী যোগে নিদ্রাবস্থায় তাহাকে গুরুতররূপে আঘাত করে । বহুদিন চিকিৎসাধীন থাকিয়া তিনি আরোগ্য লাভ করেন বটে। কিন্তু তাহার পিতা আর র্তাহাকে সরকারী চাকরী করিতে না দিয়া ১৮৬৩ অব্দে লালাবাবুর ষ্টেটের অনুপসহর কাছারীর তহশিলদার করাইয়া দেন। এই পদে তিনি প্ৰায় ২৫ বৎসর অধিষ্ঠিত থাকিয়া ষ্টেটের আয় বৃদ্ধি করেন। তাহার কার্য্যকুশলতায় জমিদারবগের অবস্থার উন্নতি হয় এবং তঁহাদের ক্ষমতা ও সন্মান বহু পরিমাণে বৰ্দ্ধিত হয়। বৃন্দাবন মিউনিসিপালিটির সৃষ্টি হইতেই তিনি তাহার সদস্য হন। ও পরে ভাইস চেয়ারম্যান, মথুরা জেলাবোর্ডের সদস্য এবং অনারারী ম্যাজিষ্ট্রেট হইয়া, স্থানীয় অবস্থার অনেক উন্নতি সাধিত করেন। প্ৰায় ২৮২.৯ বৎসর পূর্বে একবার গোয়ালিয়রের মহারাজা বৃন্দাবন দর্শন করিতে গমন করিয়াছিলেন। সেই সময় মহারাজার দরবারের উকীল রাজারাম ভাও মহাশয় মহিমবাবুর আতিথ্যসৎকারে পরম আপ্যায়িত হইয়া তীহাকে গোয়ালিয়রে লইয়া যাইবার জন্য বিশেষ আগ্ৰহ প্ৰকাশ করেন। অবশেষে মহিমবাবুর গোয়ালিয়রে যাওয়াই ᏬᏬ