পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৬৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ጎ፩8Nኃ বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । । এই ময়দার কলে কৰ্ম্ম করিতেছেন সেই সময় এক নূতন সংবাদ রাজকৃষ্ণ বাবুর কৰ্ণগোচর হইল ; একদিন তিনি তঁাহার এক বন্ধুর নিকট শুনিলেন। এখান হইতে ১২ জন সুদক্ষ কারিগর কাবুলের আমিরের নিকট পাঠান হইবে। এই ংবাদ প্ৰাপ্তি মাত্র আবার রাজকৃষ্ণবাবুর নুতন স্থানে কৰ্ম্ম করিবার ও প্রবাসে বাস করিবার বাসনা জাগিল এবং নবীন উৎসাহে হৃদয় পূর্ণ হইল। কালবিলম্ব না করিয়া বন্ধুর নিকট হইতে সকল তথ্য সংগ্ৰহ করিয়া তিনি আমীরের প্ৰতিনিধির সহিত সাক্ষাৎ করিলেন । তাহার পুরাতন কয়েকখানি নিদশন পত্ৰ দেখিয়া তাহাকে একজন কলকারখানা সম্বন্ধে অভিজ্ঞ ব্যক্তি বলিয়া প্ৰতিনিধি মহাশয়ের বুঝিতে বিলম্ব হইল না ; তিনি তঁহাকে কাবুলে যাইবার জন্য এক মাসের অগ্ৰিম বেতন ১৫০২ টাকা দিয়া যাত্রার দিন স্থির করিতে আদেশ করলেন । ক্ৰমে নির্দিষ্ট দিনে আমীর সাহেবের প্রতিনিধি মহম্মদ ইস্মাইল খাঁর তত্ত্বাবধানে আরও বার জন কারিগরের সহিত রাজকৃষ্ণ বাবু কাবুল যাত্ৰা করিলেন। তঁহারা সাতদিনে পেশোয়ার পৌছেন। কিন্তু তখন পৰ্য্যন্ত কাবুল গবৰ্ণমেণ্ট প্রেরিত লোকজন ও তাবু অশ্বাদি না। আসায় তাহারা তথায় দুই মাস কাল অপেক্ষা করিতে বাধ্য হন। পরে আড়াইমাসে সকলে কাবুলে পৌছেন ; পথে একস্থানে ডাকাতের হাতে পড়িতে হইয়াছিল। কিন্তু কাবুল গবৰ্ণমেণ্টের ১২ জন সৈনিক সঙ্গে থাকায় DBDBDSBBB DBu DBBSDD S BBD DDDS কাবুলে তঁহাদের বাসের নিমিত্ত দরবার হইতে অৰ্দ্ধক্রোশ দূরে একটী সুসজ্জিত দ্বিতল গৃহে এবং শরীর রক্ষার জন্য ১২জন সশস্ত্ৰ পাঠান সৈন্য, একজন হাওলদার ও একজন জমাদার এই ১৪ জন লোক আমীর কর্তৃক নির্দিষ্ট হইয়াছিল। বাসায় ৩ দিন অবস্থিতির পর ৪র্থ দিবসে আমীর আবদর রহমান তাহাদিগকে ডাকাইয়া পাঠান এবং ঐ সঙ্গে ঠাহাদের প্রত্যেকের জন্য এক একটী ঘোড়া দান করেন। বহুভাষাভিজ্ঞ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল সোভান আলি মহোদয়ের সঙ্গে র্তাহারা স্ব স্ব শরীর রক্ষকের সহিত আমীর-সাক্ষাতে যান। এই সকল শরীর রক্ষকের প্রতি আমীরের হুকুম ছিল যে যদি কাবুলে থাকিতে কখনও এই বাঙ্গালীদিগের শারীরিক কোন অনিষ্ট হয়, তাহা হইলে তৎক্ষণাৎ তাহদের গর্দান লাওয়া হইবে । )