পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভরণপোষণ নিৰ্বাহিত হয় তজ্জন্য উক্ত অর্থ প্রতিবৎসর গবর্ণমে জমা হইত। এতদ্ব্যতীত বীরভূম, রাজসাহী, দিনাজপুর, রঙ্গপুর, মুর্শিদাবাদ, যশোহর, ঢাকা প্রভৃতিস্থলে প্রায় পাঁচলক্ষ বিঘা জমি দেবােত্তর ও লাখরাজ করিয়া চতুৰ্ব্বর্ণের লোকের মধ্যে বিতরণ করেন। তিনি কাশীর নানাস্থানে শিবলিঙ্গ । স্থাপন, বিশেখর, দণ্ডপাণি, দুর্গ, তারা এবং রাধাকৃষ্ণ মূৰ্ত্তি ও পাষাণমন্দিরসমূহ প্ৰতিষ্ঠা করেন। ধৰ্ম্মার্থে র্যাহারা কাশীবাস করিতেছিলেন। তঁহাদের জন্য তিনি তিনশত বাড়ী নিৰ্ম্মাণ করাইয়া দেন এবং যে সকল দরিদ্র শেষ জীবনে সপরিবারে কাশীবাস করিতে আসিতেন। তঁহাদের ভরণপোষণের ব্যয় ব্যতীত বৈধ ক্রিয়া কৰ্ম্ম ও শ্ৰাদ্ধাদি কাৰ্য্য সম্পাদনার্থ সমস্ত ব্যয় তিনি অকাতরে বহন করেন। BB BiuB BBBBDD sBBD SsBLDDSSS SDDDS DBBD BB DBDDD DDDBDS প্ৰত্যহ ১০৮ জন দণ্ডী ও সধবা স্ত্রী প্রতির্ভোজন করিয়া প্ৰত্যেকে একটাকা করিয়া দক্ষিণ লইয়া যাইতেন এবং প্ৰত্যহ প্ৰায় পাঁচহাজার লোকের অন্ন বিতরিত হইত। ইহঁর প্রতিষ্ঠিত দুৰ্গাবাড়ী বাঙ্গালীদিগের মহোৎসবের কেন্দ্ৰস্থল। প্ৰতিবৎসর বিজয়াদশমীতে এখানে মহাধুম হইয়া থাকে। পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গের অনেক জমীদার, রাণী ভবানীর পদাঙ্ক অনুসরণ করিয়া কাশীতে বিগ্ৰহ, মন্দির, অন্নসত্ৰ প্ৰভৃতি প্ৰতিষ্ঠা করেন এবং অসংখ্য কাশীবাসীবাঙ্গালীর অন্নসংস্থানের স্থায়ী ব্যবস্থা করিয়া দেন। বাহারবন্দের রাজা রঘুনাথ রায়ের পত্নী রাণী সত্যবতী রাণীভবানীর মাতৃম্বসা ছিলেন। ইনিও উত্তরকালে কাশীবাস করেন। অষ্টাদশ শতাব্দীতে এবং নাটােরের রাণী ভবানীর পরবত্তী সময়ে যে সকল প্ৰতিভাসম্পন্ন ও সমাজের শীর্ষস্থানীয় বাঙ্গালী বারাণসী বাস করেন। তঁহাদের কয়েকজনের পরিচয় আমরা প্ৰাপ্ত হইয়াছি। ১৭৮৯ অব্দে নাটােরের রাজার সভাপণ্ডিত কেবলরাম ভট্টাচাৰ্য্য তঁহার কনিষ্ঠ পুত্ৰ উত্তরকালে সুগ্ৰীমকোর্টের স্বনামখ্যাত জজ পণ্ডিত জয়গোপাল তর্কালঙ্কারকে সঙ্গে লইয়া কাশীবাসী হন। জয়গোপাল সৰ্ব্ববিদ্যার কেন্দ্ৰস্থল বারাণসীতে শিক্ষা পাইয়া সাহিত্য এবং অলঙ্কার শাস্ত্রে অসাধারণ বুৎপত্তি লাভ করেন এবং অদ্বিতীয় भक्षिक बगिशा প্ৰসিদ্ধ হন। ১৮০৩ খৃষ্টাব্দে পিতার কাশীলাভ হইলে ইনি নানাস্থান ঘুরিয়া ১৮০৫ অব্দে শ্ৰীরামপুরের মিশনারী কেরীর অধীনে কৰ্ম্মপ্রাপ্ত হন এবং তাহার ৮