পাতা:বঙ্গে বর্গী - নিশিকান্ত বসু রায়.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুর্শিদাবাদ-প্ৰাসাদ"কক্ষ আলিবন্দি ও সিরাজ সিরাজ। আজ যদি কেউ বিশ্বাসঘাতক ব’লে-প্ৰতারক ব’লে বাঙ্গালার রাজশক্তিকে ধিক্কার দেয়, আপনি কি তাকে নিন্দ ক’তে পারেন ? চারদিন যুদ্ধ স্থগিত রাখবেন বলে মারাঠাদের প্রতিশ্রুতি দিলেন, আর পরমুহূৰ্ত্তে আপনার সেনাপতি আপনার কামান নিয়ে তাদের ধবংস ক’য়তে লাফিয়ে পড়ল ৷ কে এখন আপনার এ কৈফিয়ৎ বিশ্বাস ক’রবে: দাদুসাহেব, যে আপনার সম্পূর্ণ অজ্ঞাতসারে মুস্তাফা খাঁ তাদের আক্রমণ ক’রেছে ; কি অপরাধ হবে তাদের, যদি তারা মনে করে যে সহজে কাৰ্য্যোদ্ধার করতে আপনি শাঠ্যের আশ্রয় গ্ৰহণ ক’রেছেন ? আলিবদি নতমুখে নীরব রহিলেন-সিরাজ পুনরায় বলিতে লাগিলেন নিজে আপনি মুস্তাফা খাকে যুদ্ধ হ’তে বিরত থাকতে আদেশ দিয়েছিলেন, আর একটু দ্বিধা না ক’রে অমান বদনে আপনার চিরানুগত প্ৰভু ভক্ত সৈন্যাধ্যক্ষ, আপনার আদেশের মস্তকে উপেক্ষাভারে পদাঘাত করে জগতের সম্মুখে আপনাকে মিথ্যাবাদী প্ৰতারক প্ৰতিপন্ন ক’মূল --আপনার অকলঙ্ক স্মৃতিস্তম্ভটীকে চিরকালের মত কলঙ্ক কালীমায় আবৃত ক’বুল ! আমার জানিবার ইচ্ছা হ’চ্ছে দাদুসাহেব, যে বাঙ্গালার নবাব। আপনি, না, মুস্তাফা মিরজাফর প্রভৃতি আপনার উদ্ধত গর্বিবত উচ্ছঙ্খল সৈন্তাধ্যক্ষগণ । আলি । হু সিরাজ । শাস্তির কথা ব’লছি না। দাদুসাহেব, বাঙ্গালার নবাব কি আজ তার কোন সেনাপতির নিকট তার কাৰ্য্যের কৈফিয়ৎটাও চাইতে অধিকারী নন ? ବଳ