পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণচন্দ্রীয় যুগ—জয়নারায়ণ সেন–জন্ম ১৮শ শতাব্দীর পূর্বাৰ্দ্ধ। ১৪৮৫ কড়মড়ি করি দন্ত গালে মারে চড় । ধনপতি-হিয়া ধকৃধক্ ধড়পড় ॥ আর লোকে চারি দিকে লাথি কিল মারে । সাধু যম-সম দেখে যার পানে হেরে ৷ ন সরে বচন দেখি উত্তর কি দিবে। কিসে কি হইল ইথে কি মত করিবে ॥ বলে ওহে মহাশয় কর তজবিজ (১)। আমি ত ইহার কিছু নাহি জানি বীজ (২) ॥ মারি ধৌল মধু সিংহ বলে জানি তোমা। শুনেছি চোরের না ছিনালের মা” ॥ (৩) লয়ে চল উল্কা রায় দেরী না যু্যায়। তোর যম ছিল এই খায় কালী মায় । (৪) হাওলিতে চকি রাখি করিলে বাহির । শুনি আর চারি ভাই আইল যেন তীর (৫) ॥ তারা আসি ধনী মণি বিশাই কাড়ারী। সকল বান্ধিয়া লৈল জয়-রব করি ॥ এক পাছে শতেক ধাইয়া আনে। মহাকোলাহল হৈল ভূপতি-ভবনে ॥ লাখে লাখে লোক যত পাছে পাছে ধাএ। মাটী পরশিতে নারে সবে লৈয়া যায়। (৬) (১) তজবিজ = বিচার। (২) বীজ = এখানে ‘মূল’ অর্থে ব্যবহৃত। (৩) ডাকের একটি বচনে কথিত আছে–চোরের মুখে “না” ও লম্পটের মুখে “মা” সৰ্ব্বদাই শোনা যায়। এই ছত্রটি সেই বচন হইতে সংগৃহীত। - (৪) কালী মাত এই (এখনই) তোকে খাইবেন ; অর্থাৎ কালী মাতার নিকট এখনই তুই বলি হইবি । (৫) শরের মত দ্রুত গতিতে। (৬) উচু করিয়া লইয়া চলিল, তাহদের পা মাটী স্পর্শ করিতে পারিল না।