পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রাচীন সঙ্গীত—কবির গান—হরু ঠাকুর—১৭৩৮-১৮১৩ খৃঃ।
১৫৫৫

অন্তরা।

সই দেখ নিজ-করে, প্রাণপণ ক’রে,
গাঁথিলাম এ কুসুম-হার।
এ কি নিরানন্দ, বিনে সে গোবিন্দ,
হেন মালা গলে দিব কার॥

পরচিতেন।

সই খেদে ফাটে হিয়ে, কার মুখ চেয়ে,
রহিব অবলা জনা৷
আমি শ্যাম-অন্বেষণে, পাঠালেম মনে,
তার সঙ্গে কেন প্রাণ গেল না।

মহড়া।

শ্যাম তিলেক দাঁড়াও।
হেরি চিকণ কালবরণ
শ্যাম তিলেক দাঁড়াও॥
এ অধীনীর মনের মানস পূরাও।
সাধ মম বহু দিনের, আজ পেয়েছি অঙ্গনে,
চন্দ্রাননে হাসি হাসি বাণীটী বাজাও॥

চিতেন।

নির্জ্জনে এমন না পাব দরশন।
যায় নিশি যাক জানুক গুরুজন॥
তাহাতে নহি খেদিত, শুন ওহে ব্রজনাথ,
ও বংশীর গুণ কত বিশেষে শুনাও॥

অন্তরা।

শ্যাম শুন শুন যাও কেন রাখহে বচন।
তোমার বাঁশীর গান আমি করিব শ্রবণ॥

চিতেন।

কোন্‌ রন্ধে পূরে ধ্বনি কুলবতীর মন।
কুল সহিতে হে করিলে হরণ॥
কোন্‌ রন্ধ্রে পূরে ধ্বনি, রাধায় কর উদাসিনী,
সাক্ষাতে বাজাও শুনি আমার মাথা খাও॥