পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ">8 বঙ্গ-সাহিত্য পরিচয় । নয়ন-খঞ্জন দুই সদা কেলি করে। নারাঙ্গী জিনিয়া কুচ সগৰ্ব্ব আদরে ॥ সরোবর মোহিত কষ্ঠার রূপ হেরি । পদ-পরশন-হেতু করয় লহরী ॥ আপাদ-লম্বিত কেশ কস্তৱী-সৌরভ। মোহ অন্ধকার মন দৃষ্ট পরাভব ॥ অলি পিক ভূজঙ্গ চামর জলধর। শু মতসৌষ্ঠব কার নছে সমসর ॥ ত্রি গুণ সঞ্চারে বেণী ভুবন-মোহন। (১) এক গুণে দংশিতে পারয় ত্ৰিভুবন ॥ বিরাজিত কুসুম-গ্রথিত মুক্ত-হার। সজল জলদ-মধ্যে তারকা-সঞ্চার ॥ স্বৰ্গ হৈতে আসিতে যাইতে মনোরথ । স্বজিল অরণ্য-মধ্যে মহা-শুদ্ধ পগ (২) ॥ সেই পন্থে বাটওয়ার (৩) বৈসে অনুদিন । কুটিল অলকা পাশে ব্যক্ত রক্ত-চিন ॥ (৪) কিবা কবরীর মাঝে স্বর্ণ রেখাকার । যমুনার মাঝে যেন সুরেশ্বরী (৫)-ধার ॥ জন্মান্তের বাঞ্ছা-সিদ্ধি হৈতে সহসাত । ত্ৰিবলি উপরে যেন ধরিছে করাত ॥ কিবা মুখচন্দ্ৰ আখি-অরণে দেখিয়া । ত্ৰাসে ফাটিয়াছে কিবা তিমিরের (৬) হিয়া ॥ কাব শক্তি আছে সেই পন্থ যাইবার। রুধির মিশ্রিত যেন তীক্ষ অসিধার ॥ (১) বেণী ত্রি গুচ্ছে বিরাজিত ; তাহার এক গুচ্ছই ভুজঙ্গের মত ত্ৰিভূবন নাশ করিতে পারে। (২) সিঁথি। (৩) দস্থ্য ( যুবক বধ করিবার জন্ত )। (৪) রক্ত-চিন = রক্তবর্ণ সিন্দূর-চিহ্ন। যে জন সেই পথে যাইতে ইচ্ছা করে, দস্তারা তাহার রক্তপাত করে, সি দুর সেই রক্তের চিহ্ন। (৫) সুরেশ্বরী = গঙ্গা। (৬) কৃষ্ণবর্ণ ত্ৰিবলি ত্রিধ বিভক্ত অন্ধকারের মত দেখাইতেছে।