কৃষ্ণচন্দ্রীয় যুগ—কাশী-বর্ণনা—১৮০০ খৃষ্টাব্দ । কারচোব (১) এ সকল জরিদার হয়। দ্বিশত পৰ্য্যন্ত থান মূল বিনির্ণয় ॥ সাড়ী ধুতি উপৰ্থ রেসমী-পাড়ী জরী। পরন্তু রেসমী-পাড় রেসম-কিনারী ॥ অপর লিখিব গোলবদন (২) মসুরু (৩) । হরেক প্রকার বাব ফুলাম (৪) আমারু (৫) ॥ সাদাতে রেসম-পাড়ী কত রঙ্গ করে। শুদ্ধ সাদা অত্যুত্তম করিতে না পারে। সত্রঞ্চি দুলিচা (৬) আর কম্বল আসন। উত্তম মধ্যমাধম কে করে গণন ॥ এ সকল লোক সদা শিরে পাগ ধরে । কেহ ধুতি কেহ পায়জামা অঙ্গ (৭) পরে ॥ কদাচিৎ জামা করি পটুক (৮) কোমরে। এই মতে যত লোক কাশীতে বিহরে ॥ দ্বিজ ক্ষত্রী রজপুত তুয়ার আহীর। এ সকল জাতি-মধ্যে বহু বাকা (৯) বীর ॥ কোমরে কাটার ছুরি ঢাল তলআর। কাছড়ি (১০) কোমরবন্ধ যমের আকার ॥ (১) কারচোব = ভেলভেটের উপর জাকাল সল্মার কার্য-করা বস্ত্র। (২) গোলবদন = ফুলদার বস্ত্রবিশেষ ; ইহাতে ইজার প্রস্তুত হয়। (৩) মমুরু=তুলামিশ্রিত রেসমী বস্ত্রবিশেষ। (৪) ফুলাম=স্থল কাপাস-বস্ত্রবিশেষ। সাহেবেরা এই কাপড়ের পরদ করেন। জাট-রমণীগণ ফুলামের উড়ানী গায়ে দেন। ; ফুলামের চলিত নাম ‘ফুলকারী । (৫) আমারু = ফুলদার রেসমী বস্ত্রবিশেষ। চলিত নাম ‘হিমরু’। আরঙ্গাবাদ ও স্বরটে এখনও উৎকৃষ্ট আমারু প্রস্তুত হইয়া থাকে। ইহার উৎকৃষ্ট শ্রেণীর বস্ত্রগুলি ‘নবাবী হিমরু” নামে পরিচিত। আরব দেশে এই বস্ত্র রপ্তানী হইয়া থাকে। (৬) দুলিচা = মোট সতরঞ্চী-বিশেষ। (৭) অঙ্গা = অঙ্গরক্ষা বা আঙ্গার খা=জামাবিশেষ । (৮) পটুকা=কোমরবন্ধ। (৯) বাকা =উৎকৃষ্ট । (১০) কাছড়ি =মালকাছা। পূৰ্ব্ববঙ্গে কাছট’। నe >Q>N○ বিভিন্ন শ্রেণীর লোক ।
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬৭
অবয়ব