পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন গদ্য-সাহিত্য-মার্সম্যানের ভারত-ইতিহাস–১৮৩১ খৃঃ। ১৭৪৫ অবষ্ঠ প্রতিকার হইতে পারে। র্তাহারা ঐ বাকীদারের দিগকে আরো কহিলেন যে যদি তোমার দের উপর কালেক্টর সাহেব বাকী রাজস্বের দাওয়া করেন তবে তোমরা সুপ্রিম কোর্টে ঐ কালেক্টর সাহেবের নামে নালিশ করিব। অপর ঐ বাকীদারের এইরূপ নালিশ করিলে তাহারা ঐ কোর্টে আসিয়া একটা যেমন তেমন জামিন দিয়া খালাস হইল। এতদ্রপ কৰ্ম্মের দ্বারা তাবৎ রাজস্ব আদায় করণ কৰ্ম্ম প্রায় স্থগিত হইল যেহেতুক সামান্ততঃ রাজস্ব আদায় করা বল ব্যতিরেকে দুঃসাধ্য অতএব যখন ঐ প্রজারা ইহা অবগত হইল যে সুপ্রিম কোর্টে নালিশ করিলে এই ক্ষণে বাকী টাকা দেওনের ভার হইতে মুক্ত হইতে পারি ইহাতে সুতরাং তাহারা কোনরূপে রাজস্ব দাখিল করিতে স্বীকার করিল না । অপর ঐ সুপ্রিম কোর্টের সাহেবের। মফঃসলে ফৌজদারী বিষয়ের মধ্যেও হস্ত নিক্ষেপ করিতে ক্রটি করিলেন না। তৎকালীন ফৌজদারী ব্যাপার সকল নবাবের নামে নায়েব নাজিমের দ্বারা নিৰ্ব্বাহ হইত এবং সুবার তাবৎ লোকই যাথার্থ্যাযাথার্থ বিবেচনাতে ঐ নায়েব নাজিমের অপেক্ষা করিত। সুপ্রিম কোর্টের জজ সাহেবের কহিলেন যে নবাব কে তিনি রাজা নহেন তাহার প্রভুত্ব আমরা কদাচ স্বীকার করি না। এই রূপেতে র্তাহারা নবাবের হস্তস্থিত তাবৎ ফৌজদারি বিষয়ক ক্ষমতা একেবারে নিৰ্ব্বাণ করিলেন। দেশের নিৰ্দ্ধারিত রাজ-শাসনের মধ্যে র্তাহার দের এতদ্রুপ অদ্যায় পূৰ্ব্বক হস্ত নিক্ষেপ করণের এই কারণ র্তাহারা দর্শাইলেন যে এতদেশীয় প্রজার দিগকে কোম্পানির ভূত্যের দের দৌরাত্ম্যাচরণ হইতে মুক্ত করা সুপ্রিম কোর্ট স্থাপনের মূল অভিপ্রায় অতএব যে ক্ষমতা আমরা সংপ্ৰতি গ্রহণ করিলাম তদ্ব্যতিরেকে আমরা ঐ কর্তব্য কৰ্ম্ম কি রূপে নিৰ্ব্বাহ করিব অথচ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারা প্রজার দের মঙ্গল দূরে থাকুক প্রত্যুত তাহার দের এই ক্ষমতা গ্রহণে প্রজার দের অত্যন্ত অমঙ্গলের বৃদ্ধিমাত্র হইল। অপর গবর্ণর জেনারল সাহেব ইহাতে তাবৎ রাজশাসনের বৈকল্য দেখিয়া তদ্বিষয় কোর্ট আফ ডৈরক্তস সাহেবের দের নিকটে নিবেদন করিলেন এবং ১৭৭৭ সালে বাদশাহের মন্ত্রীর দের নিকটে তাহ অবগত করাইয়া এই প্রার্থনা করিলেন যে আপনারা এই সকল বিবাদ ভঞ্জন করিয়া তজ্জাত বিভ্ৰাট সকল নিবৃত্ত করুন। তাহারা আরো বাদসাহের মন্ত্রীর দের নিকটে ইহা নিবেদন করিলেন যে পালিমেণ্ট যে সময়ে সুপ্রিম কোর্ট স্থাপন করেন তখন জমীদার ইজারদার প্রভৃতির দিগকে ঐ আদালতের এলাকার মধ্যে ভুক্ত করা কদাচ অভিপ্রায় ছিল না তথাপি

  • >>