পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>やかs বঙ্গ-গৌরব বিহারের ভাগলপুর শহরে ওকালতি করিতে গিয়াছিলেন। ওকালতিতে তখন ভাগ্যলক্ষ্মী র্তাহার প্রতি সুদৃষ্টি প্রদান না করায় তিনি ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে মুনসেফি চাকরি গ্রহণ করেন। এবং ১৯০৫ খ্রিস্টােব্দ পর্যন্ত তঁহাকে মুনসেফি করিতে হয়। কিন্তু ঐরাপ চাকরি করিবার জন্য তিনি জন্মগ্রহণ করেন নাই। কাজেই চাকরি ছাড়িয়া তিনি বিলাতে ব্যারিস্টারি* পড়িতে গমন করেন এবং ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে লিঙ্কন ইন হইতে মাইকেলমাস টার্মে ‘বার ফাইনাল” পরীক্ষা পাশ করেন--তিনি উক্ত পরীক্ষায় ফাস্ট অনার্সম্যান ছিলেন। কলিকাতা হাইকোর্টে ব্যারিস্টারিতে নৃপেন্দ্রনাথের সুনাম হয় এবং তিনি উক্ত ব্যবসায়ে প্রচুর অর্থ উপার্জন করিতে থাকেন। ১৯২৮ খ্রিস্টােব্দ হইতে ১৯৩৪ খ্রিস্টােব্দ পর্যন্ত সুদীর্ঘকাল তিনি কলিকাতা হাইকোর্টের অ্যাডভোকেট জেনারেলের পদে৬ প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। গত ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে তঁহাকে ভারত গভর্নমেন্টের আইন-সচিব পদে নিযুক্ত করা হইয়াছে এবং অদ্যাবধি তিনি সেই সম্মানিত পদ অলংকৃত করিতেছেন। ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে গভর্নমেন্ট তীহাকে নাইট উপাধি প্রদানে সম্মানিত করিয়াছেন। দুর্গাদাস বসু মহাশয়ের কন্যা নবনলিনী বসুর সহিত নৃপেন্দ্রনাথের বিবাহ হইয়াছিল এবং তঁহাদের আটটি পুত্ৰ সন্তান হইয়াছে। নৃপেন্দ্রনাথকে যখনই রাজনীতিক্ষেত্রে দেখা যাইত, তখন তিনি গভর্নমেন্ট পক্ষ সমর্থনেই প্ৰবল আগ্রহ প্ৰকাশ করিতেন। তখন তিনি স্বাধীন ব্যবসায়ী ছিলেনগভর্নমেন্টের সহিত র্তাহার প্রায় কোন সম্পর্কই ছিল না। ভারতের শাসনসংস্কার-কল্পে সাইমন কমিশনের নির্ধারণানুসারে শাসন-ব্যবস্থা প্রণয়নের জন্য বিলাতে যে তৃতীয় গোলটেবিল বৈঠকের অধিবেশন হইয়াছিল, ভারতের প্রতিনিধিরূপে৮ স্যার নৃপেন্দ্রনাথ সরকারকে তাহাতে যোগদান করিতে প্রেরণ করা হইয়াছিল-ঐ বৈঠকেই প্রধান মন্ত্রী প্রদত্ত সাম্প্রদায়িক রোয়েদাদের কথা আলোচিত হয়। স্যার নৃপেন্দ্রনাথ উক্ত রোয়েদাদা যাহাতে পরিবর্তিত হয়, সেজন্য তথায় চেষ্টার কোনরূপ ত্রুটি করেন নাই। নূতন শাসনবাবস্থায় যে সকল ব্যাপারে বাংলার প্রতি অবিচার করা হইয়াছে, সে সকল বিষয়ে সুবিচার লাভের জন্যও স্যার নৃপেন্দ্রনাথ বিলাতে বাংলার পক্ষ লইয়া প্রবল আন্দােলন পরিচালিত করিয়াছিলেন। সে সময়ে তাহার যে নিভীকতা ও তেজস্বিতা প্রকাশিত হইয়াছিল, তাহা দেখিয়া সকলে মুগ্ধ হইয়াছিলেন। ভারতের শাসন-সংস্কার সম্বন্ধে বিলাতে যে জয়েস্ট পার্লামেন্টারি কমিটি বসিয়াছিল, তঁহার নিকটও স্যার নৃপেন্দ্রনাথের সাক্ষ্য গৃহীত হইয়াছিল। স্যার নৃপেন্দ্রনাথ ভারত গভর্নমেন্টের চাকরি করেন বলিয়া কোথাও গভর্নমেন্টের স্বার্থরক্ষণের জন্য দেশের লোকের পক্ষে ক্ষতিজনক কোনো ব্যবস্থা অনুমোদন করেন নাই। বিলাতে ভারতীয় শাসন-সংস্কার সম্পর্কিত জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটিতে নৃপেন্দ্রনাথ বাংলার স্বার্থরক্ষার জন্য বিশেষ মনোযোগী ছিলেন। পাট বাংলার নিজস্ব সম্পদ-বাংলার