পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেঘনাদ সাহা। S &ኃፄ জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৩৫ সালে তিনি নিখিল ভারতীয় বিজ্ঞান পরিষদ প্রতিষ্ঠার কর্মসচিব ছিলেন। বর্তমানে তিনি এই পরিষদের সভাপতি। তিনি ভারতের, ইউরোপের ও আমেরিকার কত বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানের সহিত যে বর্তমানে সংশ্লিষ্ট আছেন, তাহার সংখ্যা নাই। ভারতে প্ৰায় এমন কোনো প্ৰসিদ্ধ বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠান নাই, যাহার সহিত বর্তমানে বা অতীতে ডাক্তার সাহার কোনো সম্পর্ক ছিল না। এখন তাহার বয়স মাত্র ৪৪ বৎসর বটে, কিন্তু এই অল্প বয়সেই তাহার নাম চারিদিকে এত অধিক ছড়াইয়া পড়িয়াছে, যে প্রায়ই তেঁহাকে কোনো না কোনো উৎসবে যোগদান করিবার জন্য ইউরোপে যাইতে হইয়া থাকে। ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি কার্নেগী বৃত্তি লাভ করিয়া ইউরোপ ও আমেরিকায় গমন করেন এবং এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরূপে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্ৰিশত বাৎসরিক উৎসবে যোগদান করেন। কেতাবি বিজ্ঞানকে কি ভাবে ব্যবহারিক করা যায়। সে বিষয়ে ডাক্তার সাহা প্রথমাবধি বিশেষ অবহিত আছেন। তিনি বহুদিন পূর্বেই বাংলা দেশে একটি জলবিজ্ঞান গবেষণার ল্যাবোরেটরী প্রতিষ্ঠার কথা বলিয়াছিলেন। দেশের বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফল কার্যে পরিণত করিয়া তদ্বারা শিল্প বাণিজ্যের উন্নতি বিধানের জন্য তিনি দেশের বহু শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানকে সাহায্য করিয়া থাকেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি Science and Culture* (বিজ্ঞান ও কৃষ্টি) এই নামে একটি বৈজ্ঞানিক মাসিক পত্রিকা প্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন। এলাহাবাদপ্রবাসী কয়েকজন বাঙালির চেষ্টায় বিহার প্রদেশে শীতলপুরে যে বিরাট চিনি-কােল প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে, ডাক্তার সাহা তাহার অন্যতম পরিচালক। এখনও ডাক্তার সাহার জীবন-কথা রচনার সময় আসে নাই। তিনি অতিশয় ধীর ও স্থির প্রকৃতি এবং বিনয় ও সৌজন্যে র্তাহার ব্যবহার পরিপূর্ণ। সেজন্য তঁহার বহুমুখী কার্যপ্রতিভার সকল কথা জানা বর্তমানে সম্ভবপর নহে। তিনি সুদীর্ঘ জীবন লাভ করিয়া দেশের সেবা করিয়া দেশেকে ধন্য করুন এবং নিজেও ধন্য হউন, ইহার আমাদের একান্ত কামনা।।*

  • Patasan-yu. R. Saat