পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S ዒbr বঙ্গ-গৌরব ৬ তত্ত্ববােধিনী সভা : ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দের ৬ অক্টোবর, (১৭৬১ শক, ২১ আশ্বিন) দ্বারকানাথ ঠাকুরের জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে এর নাম ছিল “তত্ত্বরঞ্জিনী সভা’। দ্বিতীয় অধিবেশনে আচার্য রামচন্দ্ৰ বিদ্যাবাগীশের উপদেশে নাম রাখা হয় ‘তত্ত্ববোধিনী সভা’। ৭। কার ঠাকুর এ্যাণ্ড কোম্পানি ঃ ১৮৩৪ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে দ্বারকানাথ স্বাধীনভাবে ব্যবসা চালানোর উদ্দেশ্যে সরকারি চাকরি ছেড়ে “কার ঠাকুর এ্যাণ্ড কোম্পানি’ স্থাপন করলেন। দ্বারকানাথ, মি উইলিয়ম কার, ও মি. উইলিয়ম প্রিন্সেপ এই তিন জনকে অংশীদার করে ‘কার ঠাকুর এ্যাণ্ড কোং স্থাপিত হয়। পরে ভিন্ন ভিন্ন অংশীদার গ্ৰহণ করা হয়। আসলে দ্বারকানাথই ছিলেন এই কোম্পানির প্রাণ। আর্থিক বিষয়ে তিনি সর্বময় কর্তা ছিলেন। ৮. তত্ত্ববোধিনী পাঠশালা ; মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ তীর ‘আত্মজীবনীতে তত্ত্ববােধিনী সভার উদ্দেশ্য ব্যক্ত করেছেন এভাবে-—“ইহার উদ্দেশ্য আমাদিগের সমুদায় শাস্ত্রের নিগুঢ় তত্ত্ব এবং বেদান্ত প্ৰতিপাদ্য ব্রহ্মবিদ্যার প্রচার।” এই সভার উদ্দেশ্য কাজে পরিণত করার জন্য দেবেন্দ্ৰনাথ পর পর তিনটি উপায় অবলম্বন করলেন-১. তত্ত্ববোধিনী পাঠশালা ২. ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা এবং ৩. শাস্ত্রগ্রন্থ প্রচার ও তজজন্য বারাণসীতে বেদবিদ্যা অধ্যয়নের জন্য চারজন ছাত্র পাঠানো। তত্ত্ববোধিনী পাঠশালার উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে বলা হয়েছে১. সদ্য প্রতিষ্ঠিত হিন্দুকলেজে পাঠশালার আদর্শে বাংলার মাধ্যমে সবরকম শিক্ষা দেওয়া হবে; ২. প্রস্তাবিত বিদ্যালয়ে ধর্মশিক্ষা দেওয়া হবে; ৩. দেশীয় ভাষায় পাঠ্যপুস্তক রচনা করতে হবে। অবশ্য দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ভাষায় সংস্কৃত ব্যাকরণ ও অক্ষয়কুমার দত্ত ভূগোল, অঙ্ক, পদার্থবিদ্যা প্রভৃতি লেখার ব্যাপারে স্থির হয়েছিল। অবশ্য “তত্ত্ববোধিনী পাঠশালা’ কলকাতায় তিনবছর (১৮৪০ জুন-১৮৪৩ এপ্রিল) পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত ছিল। আর ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দের ১৩ জুন। এই পাঠশালার কাজ শুরু হয়েছিল। ৯. অক্ষয়কুমার দত্ত (১৫.৭ ১৮২০-২৮.৫. ১৮৭৬) : বর্ধমান জেলার চুণীগ্রামে জন্ম। পিতা দিগম্বর দত্ত, মাতা দয়াময়ী। শিক্ষা-ওরিয়েন্টাল সেমিনারিতে। প্রথমে ‘অনঙ্গমোহন” (১৮৩৪) কাব্যগ্রন্থ এবং ভূগোল’ (১৮৪২) পাঠ্যপুস্তক রচনা করে সুধীসমাজে পরিচিত হন। কিছুকাল ‘বিদ্যাদর্শন’ পত্রিকা’ (১৮৪২) সম্পাদনা করেন। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ প্রতিষ্ঠিত “তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’ সম্পাদনা করেন (১৮৪৩-১৮৫৫) পর্যন্ত। তঁর রচিত উল্লেখযোগ গ্রন্থগুলি হােল ‘বাহ্যবস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার” (১ম-১৮৫১, ミリ >vas); 5ー?tó" (för RびSー>ッQS->ves)、“*可" (>brae) “ভারতবর্ষীয় উপাসক সম্প্রদায় (১ম-১৮৭০, ২য়-১৮৮৩),’ ‘বঙ্গীয় রথারোহীদিগের প্রতি উপদেশ” (১৮৫৫), ও পরে তঁর কনিষ্ঠপুত্র রজনীনাথ দত্ত তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় প্রকাশিত কয়েকটি প্রবন্ধ সংকলন, সম্পাদন ও প্রবর্ধন করে ‘প্রাচীন হিন্দুদিগের সমুদ্রযাত্রা ও বাণিজ্যবিস্তার’ (১৯০১) নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেছিলেন। Ayo ১০. তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ঃ ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দে এই বিখ্যাত মাসিক পত্রিকাটির প্রকাশ।