পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টীকা ও প্রাসঙ্গিক তথ্য 8 እs¢ আর একটা কথা, ডারউইন। কিন্তু strongest individual' < (airs, 301CS (DGCR 'strongest species's Wife at Sir ris, graft serfs' (সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়-স্বামীজির ভারত পরিভ্রমণের প্রেক্ষাপট (প্রবন্ধ) উদ্বোধন প্ৰকাশিত, স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ সম্পাদিত, বিশ্বপথিক বিবেকানন্দ (১৯৯৩) গ্রন্থটি থেকে উদ্ধৃত/পৃ. ৪৫৭) ২. রামকৃষ্ণদেব (১৮.২.১৮৩৬-১৬.৮, ১৮৮৬) : হুগলির কামারপুকুরে জন্ম। বাবা ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়। বাল্যকালে নাম ছিল গদাধর। বিদ্যালয়ের শিক্ষা তেমন হয়নি, কিন্তু বাল্যকাল থেকেই ধর্মভাবাপন্ন ছিলেন। যৌবনে রাণী রাসমণি প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণেশ্বরের কালীবাড়ির পুরোহিত নিযুক্ত হন। এখানেই তিনি কালীসাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন। তার ভক্তশিষ্য মহেন্দ্র গুপ্ত (শ্ৰীম) তীর বাণী ও উপদেশ 'শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণ কথামৃত” সংকলন করে গেছেন। তঁর প্রিয় শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ চিকাগো ধর্মমহাসভায় হিন্দুধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করে আসেন। রামকৃষ্ণদেবের মতে সব ধর্মই সত্য, “যত মত তত পথ’। মনীষী রম্যা রিলা শ্ৰীরামকৃষ্ণকে ‘ত্ৰিশ কোটি মানুষের দু'হাজার বছরের আধ্যাত্মিক জীবনের সার’ বলে বর্ণনা করেছেন। ৩. আলোয়ারের রাজা : ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে স্বামীজি আলোয়ার রাজ্যে গমন করেন। সেখানে বাঙালি ডাক্তার গুরুচরণ লস্কর ও এক মৌলবি সাহেবের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। আলোয়ার দেওয়ান মেজর রামচন্দ্ৰজির আমন্ত্রণে স্বামীজি সেখানে আসেন ও আলোয়ারের মহারাজা মঙ্গলসিংহের সঙ্গে তার আলাপ হয়। পরে মহারাজের সঙ্গে স্বামীজির সন্ন্যাসগ্রহণের তাৎপৰ্য, সন্ন্যাসের বেশে দেশে দেশে ফেরা ও পৌত্তলিকতার তাৎপৰ্য সম্বন্ধে নানা তর্কবিতর্ক হয়। এখানেই মহারাজের ফটাের ওপর থুতু ফেলার ঘটনা ঘটে। পরে আলোয়ারের রাজা স্বামীজির কৃপা প্রাপ্ত श्व् । ৪ খেতরির রাজা ; খেতরির রাজা অজিত সিংহের সঙ্গে স্বামীজির আলাপ হয়। ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দের ৪ জুন। প্রাথমিক অভিবাদন ও কুশল প্রশ্নাদির পর স্বামীজির সঙ্গে রাজার নানা বিষয় নিয়ে কথাবার্তা হয়। স্বামীজির ব্যক্তিত্বে আকৃষ্ট হয়ে রাজা তার কাছে মন্ত্রদীক্ষা নিলেন। ধীরে ধীরে গুরু শিষ্যের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হয়। রাজা স্বামীজিকে প্ৰাণ দিয়ে ভালবাসতেন, শ্রদ্ধা করতেন-স্বামীজির সামনে তিনি করজোড়ে জানু পেতে অভিবাদন করতেন ও তার সেবার জন্য তৈরি থাকতেন। স্বামীজিও মনে করতেন তঁর এই শিষ্যটির দ্বারা জগতের বহু কল্যাণ সাধিত হবে। তিনি শুধু তার আধ্যাত্মিক জীবন গঠনে সাহায্য করেননি, লৌকিক জ্ঞান অর্জনের সহায়ক হয়েছিলেন। খেতরিতে প্ৰায় তিনমাস অবস্থান কালে (৭ আগস্ট থেকে ২৭ অক্টোবর) রাজা তার কাছে পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা এবং নক্ষত্রবিদ্যা অধ্যয়ন করেন। রাজপ্রাসাদের সর্বোচ্চ কক্ষে একটি ল্যাবোরেটরি প্রতিষ্ঠা করে গুরু শিষ্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা গবেষণায় মেতে থাকতেন। গীতবাদ্য ও চলতো মাঝে মাঝে।