পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টীকা ও প্রাসঙ্গিক তথ্য SRos সরকার লিডুস (Leeds) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মাইকেল স্যান্ডুলারকে সভাপতি করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠন করেন। মাইকেল স্যাডুলারের (Sir Michael Sadler) নেতৃত্বে কমিশনটি গঠিত হওয়ায় এটি স্যাডলার কমিশন (Sadler Commission) নামে সমধিক পরিচিত। কমিশনের অন্য সদস্যরা ছিলেন- স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, স্যার জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ড. গ্রেগরি, স্যার ফিলিপ হার্টগ, অধ্যাপক রামজ্যে প্রমুখ শিক্ষাবিদ। অনেকের মতে কমিশন স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় দ্বারা গভীর ভাবে প্রভাবিত হয়েছিল। ১০. সম্রাট এডওয়ার্ড, ৭ম (১৮৪১-১৯১০) : মহারাণী ভিক্টেরিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র, ইংল্যান্ডের রাজা ও ভারতের সম্রাট ছিলেন। ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে ইনি সিংহাসন লাভ করেন। ১১. লর্ড কার্জন : ১৮৯৯-১৯০৫ খ্রিস্টাব্দ ভারতের গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয় ছিলেন। প্রশাসনিক দক্ষতা ও সংস্কারমূলক কাজের জন্য লর্ড কার্জনের শাসনকাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতির জন্য তিনি নানা বিধিব্যবস্থা অবলম্বন করেন। তার সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অধ্যয়নের ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়। ভারতের বিভিন্ন ঐতিহাসিক কীৰ্তি সংরক্ষণ ও বিভিন্ন ঐতিহাসিক কীর্তির ধ্বংসাবশেষ পুনরুদ্ধার কল্পে তিনি বিভিন্ন আইন প্ৰণয়ন করেন। কলকাতায় ভিক্টেরিয়া স্মৃতিসৌধ তারই শাসনকালে নির্মিত হয়। তবে প্রশাসনিক সুবিধার অজুহাতে কার্জন বঙ্গদেশকে দ্বিখণ্ডিত করে তার পূর্বাংশ আসামের সঙ্গে ও পশ্চিমাংশ বিহার ওড়িশার সঙ্গে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রবল জনমতের চাপে কার্জন তা প্ৰথমে কার্যকর করতে পারেননি। তবে বাংলার রাজনৈতিক গুরুত্ব হ্রাসের উদ্দেশ্যে ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা হয়। কোনো বিশেষ ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকার তার কাজ সমৰ্থন না করায় তিনি পদত্যাগ করে ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে স্বদেশে ফিরে যান। ब्रदीक्नाथ ठेकूद्ध ১. মিসেস বেসান্তু ১ শিকাগোতে প্রদত্ত বিশ্বধর্ম সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। ভারতে থিয়োজফিস্ট আন্দোলনের প্রধান নেত্রী ছিলেন অ্যানি বেসাপ্ত। তিনি শিকাগোতে বিবেকানন্দের ভাষণের সপ্ৰশংস উল্লেখ করেছেন। স্বামীজির কর্মবাদ’ প্রসঙ্গটি তিনি দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছেন। তার কর্ম’ শীর্ষক পুস্তিকায় তিনি কর্মবাদ নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করেছেন। মাদ্রাজে। ভিক্টেরিয়া হল ও কলকাতায় স্টার থিয়েটার হলে (১১ মার্চ ১৮৯৮) ও অন্যত্র স্বামীজি অ্যানি বেসাম্ভ ও তঁর কার্যকলাপের সপ্ৰশংস উল্লেখ করেছেন। ২ রবীন্দ্রনাথের সম্পাদনায় ভারতী, সাধনা ও বঙ্গদর্শন প্ৰকাশ ও ভারতী ১২৮৪ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসে “ভারতী’ পত্রিকার আত্মপ্রকাশ। দেবেন্দ্রনাথের জ্যেষ্ঠপুত্র দ্বিজেন্দ্রনাথ একাদিক্ৰমে (১২৮৪-১২৯০) সাত বছর, স্বর্ণকুমারী দেবী (১২৯১-১৩০১) এগারো বছর, হিরন্ময়ীদেবী ও সরলা দেবী (১৩০২-১৩০৪) তিনবছর ও রবীন্দ্রনাথ (১৩০৫) マリ子の着エマー〉g