পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/২৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টীকা ও প্রাসঙ্গিক তথ্য Rà S of my wife, that I should attend the inaugural meeting," ibid. p. 38-39 ৪ স্যার, হেনরি হ্যারিসন (১৮৩৭-১৮৯২)। আসল নাম স্যার হেনরি লেল্যান্ড হ্যারিসন। অক্সফোর্ডে শিক্ষাদীক্ষা লাভ করে বাংলা সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। পরে বেঙ্গল গভর্নমেন্টের জুনিয়ার সেক্রেটারি (১৮৬৭), বোর্ড অফ রেভেনিউর সেক্রেটারি (১৮৭৮), ১৮৮১-৯০ এর মধ্যে কমিশনার অব পুলিশ ও কলকাতা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। হাওড়া ব্রিজের পূর্ব প্রান্ত থেকে শুরু করে শিয়ালদহ পর্যন্ত রাস্তাটির পূর্ব নাম ছিল সেন্ট্রাল রোড। ১৮৮০-তে এই রাস্তাটির নির্মাণ কার্য শুরু হয় এবং ১৮৯১-৯২ এর মধ্যে রাস্তাটির নির্মাণ কাৰ্য শেষ হলে এটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এই হ্যারিসন রোড। বর্তমানে এটির নাম মহাত্মা গান্ধী রোড। ৫. ‘বেঙ্গলি’ পত্রিকা : ১৮৭৯ এর ১ জানুয়ারি থেকে সুরেন্দ্ৰনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় প্রকাশিত হতে থাকে ‘বেঙ্গলি”। এই সময় থেকে ‘বেঙ্গলি” পুরোদস্তুর রাজনৈতিক পত্রিকা হয়ে ওঠে। ১৮৮৩ র ২ এপ্রিল ‘বেঙ্গলি’তে প্ৰকাশিত একটি লেখায় বিচারপতি নরিসকে কিঞ্চিৎ কটাক্ষ করা হয়। এজন্য আদালত অবমাননার দায়ে সুরেন্দ্রনাথকে অভিযুক্ত করা হয়। বিচারে তঁকে দু’মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। এর পর থেকে সুরেন্দ্রনাথের ‘বেঙ্গলি’র দিনের পর দিন জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। ১৯০০ পর্যন্ত সাপ্তাহিক হিসেবে প্ৰকাশিত হবার পর পত্রিকাটি দৈনিকে রূপান্তরিত হয়। ১৯১৯ এর জানুয়ারি পর্যন্ত সুরেন্দ্রনাথই ছিলেন পত্রিকার স্বত্বাধিকারী ও সম্পাদক। পরে ‘বেঙ্গলি’র সঙ্গে তার সব সম্পর্ক ছিন্ন হয়। ১৯৩১ পর্যন্ত ‘বেঙ্গলি’র অস্তিত্ব বজায় থাকে । গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ১.২. জেনারেল এসেমব্রিজ ইনস্টিটিউসন : স্কটিশ চার্চেস কলেজ : ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজি সাধারণ শিক্ষার বাহন রূপে ধার্য হলে জেনারেল এসেমব্লিজ ইনস্টিটিউশন একটি প্রথম শ্রেণির শিক্ষাকেন্দ্ৰে পরিণত হয়। ১৯০৮ এর ১ জুন থেকে জেনারেল এসেমব্লিজ ইনস্টিটিউশন ও ডাফ কলেজ একত্র হয়ে স্কটিশ চার্চেস কলেজ’ নামকরণ হয়। স্বামী বিবেকানন্দ বাল্যে এই প্রতিষ্ঠানে এফ. এ. পড়েন। ৩. অমরকোষ = অমরকোষ বা অমরার্থচিন্দ্ৰিক বা নামলিঙ্গানুশাসন সংস্কৃত সাহিত্যের একটি অন্যতম প্রাচীন অভিধান। গ্রন্থকার অমরসিংহ উজ্জয়িনীর অধিপতি মহারাজ বিক্ৰমাদিত্যের নবরত্ন সভার অন্যতম রত্ব ছিলেন। অমরসিংহ বৌদ্ধ ছিলেন। তাই গ্রন্থারম্ভে বুদ্ধকে প্ৰণাম জানিয়েছেন। এই গ্রন্থের প্রচলিত টীকার মধ্যে ক্ষীরস্বামীর টীকাই সর্বপ্রাচীন। স্বৰ্গবৰ্গ, কালবৰ্গ, ব্যোমবর্গ, পাতালবৰ্গ প্রভৃতি নানা বর্গে বইটি সজ্জিত। এটি খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীর রচনা।