পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টীকা ও প্রাসঙ্গিক তথ্য RRS লর্ড সত্যেন্দ্ৰপ্ৰসন্ন সিং ১. মান সিংহ ঃ সম্রাট আকবরের অন্যতম বিশ্বস্ত ও দক্ষ সেনাপতি। মোগল সাম্রাজ্য বিস্তারে তঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। তিনি ছিলেন অম্বর (জয়পুর) রাজ ভগবান দাসের দত্তক পুত্র। সম্রাট আকবর মানসিংহকে তঁর সেবার পুরস্কার স্বরূপ সাতহাজারি মনসবদার করেন। হলদিঘাটের যুদ্ধে (১৫৭৬) তিনি মোগল বাহিনীর সেনাপতিরাপে রাণা প্ৰতাপসিংহকে পরাজিত করেন। মানসিংহ কাবুল, বাংলা ও বিহারের শাসক ছিলেন। ২. টোডরমল ঃ মোগল সম্রাট আকবরের বিশিষ্ট অমাত্য টোডরমল প্ৰথমে শেরশাহের সরকারে সামান্য কর্মচারীরূপে যোগ দেন। প্ৰথমে মোগল সম্রাট আকবরের রাজসভাতেও তিনি কোনো উচ্চপদে অধিষ্ঠিত ছিলেন না। কিন্তু প্রশাসনিক দক্ষতা ও আপনি সামরিক প্রতিভায় তিনি সম্রাটের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। প্রধানত তিনি সম্রাট আকবরের প্রধান মন্ত্রী ছিলেন। সম্রাটের বিভিন্ন সামরিক অভিযান টােডরমলের নেতৃত্বে পরিচালিত হােত। মোগল দরবারে যোগদানের পর ১৫৬২ খ্রিস্টাব্দে টোডরমল উচ্চ রাজপদে অধিষ্ঠিত হন ও ১৫৮৯ খ্রিস্টাব্দে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত তিনি ছিলেন তঁর মুখ্য পার্শ্বচর। ৩. মন্টেগু ৪ ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে মন্টেণ্ড শাসক হিসেবে ভারতে আসেন। ও তার পরিকল্পিত শাসন সংস্কারের খসড়া নিয়ে বড়লাট লর্ড জেমসফোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করেন। তাদের আলোচনার ফলে ১৯১৮ সালে জুলাই মাসে প্রকাশিত হয়। সেই রিপোর্ট অনুসারে হয় ১৯১৯-এর ভারত শাসন সংস্কার আইন। ৪. মিন্টো ৪ লর্ড মিন্টো ১৯০৫-১০ ভারতের গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয় ছিলেন। তার শাসনকালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। চরমপন্থী ও নরমপন্থীদের বিরোধের ফলে ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে সুরাটে জাতীয় কংগ্রেস দ্বিখণ্ডিত হয়; ১৯০৮ সালে হয় ক্ষুদিরামের ফঁাসি। এই বছরেই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অভিযোগে অরবিন্দ ঘোষ, কানাইলাল প্রমুখ বিপ্লবীরা গ্রেপ্তার বরণ করেন। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে শাস্ত করার অভিপ্ৰায়ে ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে ‘কাউন্সিল অ্যাক্ট পাশ হয়, যা তৎকালীন ভারত সচিব মলি ও গভর্নর জেনারেল মিন্টোর নামানুসারে মর্লি-মিন্টো শাসন সংস্কার নামে অভিহিত হয়। পরের বছর লর্ড মিন্টোর কার্যকাল শেষ হয়। অক্ষয়কুমার দত্ত ১. শম্ভুনাথ পণ্ডিত (১৮২০-৬.৬.১৮৬৭) ও কাশ্মীরি পণ্ডিত বংশের সন্তান। শৈশবে কাকার কাছে প্রতিপালিত হন। কৈশোরে লক্লেীতে উর্দু ও ফারসি ভাষা শেখেন। প্রথমে কোর্টের সহকারী রেকর্ড কিপার ও পরে ডিক্রিজারির মহুরির পদ পান। সে সময় ডিক্রিজারি সম্পর্কিত একটি বই লিখে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ১৮৫৫-তে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের আইন অধ্যাপক ও পরে সিনিয়র উকিল হন। ১৮৬৩-তে হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠিত হলে তিনিই প্রথম দেশীয় বিচারপতি রূপে আমৃত্যু কাজ করেন। ভবানীপুর