&\90 বঙ্গ-গৌরব bन्नाथ বসু ১. চন্দ্ৰনাথ বসুর জন্ম ঃ ১২৫১ বঙ্গাব্দের ১৭ ভাদ্র (৩১ আগস্ট, ১৯৪৪) হুগলি জেলার শ্ৰীরামপুর মহকুমার অধীন হরিপাল থানার অন্তৰ্গত কৈকালা গ্রামে চন্দ্ৰনাথ বসুর জন্ম। ২. পিতা সীতানাথ ও পিতামহ কাশীনাথ ৪ চন্দ্রনাথের পিতামহ কাশীনাথের চার পুত্র। সীতানাথ কনিষ্ঠ। এই সীতানাথের দুই পুত্ৰ-জ্যেষ্ঠ দ্বারকানাথ ও কনিষ্ঠ চন্দ্রনাথ। এ ছাড়া ছিল তিনি কন্যা-সুরধুনী, মন্দাকিনী ও বরদাসুন্দরী। ৩. ওরিয়েন্টাল সেমিনারীর শাখা বিদ্যালয় ঃ শিক্ষানুরাগী গৌরমোহন আঢ্য ওরিয়েণ্টাল সেমিনারী প্রতিষ্ঠা করেন। চিৎপুরে মূল বিদ্যালয় ছাড়াও এর তিনটি শাখা ছিল--একটি কলকাতায় চিৎপুরে মূল বিদ্যালয়ের নিকটে, একটি ভবানীপুরে, আর একটি বেলঘরিয়ায়। চন্দ্ৰনাথ কলকাতা শাখা স্কুলে ভরতি হলেন। ৪. রসরাজ অমৃতলাল বসু ৪ (১৭-৪-১৮৫৩-২.৭.১৯২৯) বঙ্গরঙ্গমঞ্চের প্রথম যুগের প্রখ্যাত নাট্যকার, কৌতুকরসের স্রষ্টা ও অভিনেতা। তাঁর রচিত চল্লিশটি গ্রন্থের মধ্যে নাটক ৩৪টি। ‘পুরাতন প্রসঙ্গী’, ‘পুরাতন পঞ্জিক”। প্রভৃতি তীর আত্মস্মৃতিমূলক রচনা । ৫. কৈলাসচন্দ্ৰ বসু (১৮২৭-১৮.৮.১৮৭৮) ঃ হিন্দু কলেজের অন্যতম সেরা ছাত্র। ‘বেথুন সোসাইটির সক্রিয় সদস্য। শিক্ষাবিভাগের অধিকর্তা জন উড্রোর অনুরোধে সোসাইটির একটি সভায় ওরিয়েণ্টাল সেমিনারীর ইতিহাস বিবৃত করেছিলেন। সোসাইটির আর একটি সভায় Hindoo Female Education সম্পর্কে বক্তৃতা দেন। সতীর্থ সাংবাদিক গিরিশচন্দ্র ঘোয্যের সহায়তায়। ‘Literary Chronicle’ (১৮৪৯) নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন। ওরিয়েণ্টাল সেমিনারির মূল স্কুলে চন্দ্রনাথ গেলে সেখানে তিনি কৈলাসচন্দ্র বসুকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পান। তিনি চন্দ্রনাথকে পুত্ৰবৎ স্নেহ করতেন। হিন্দু কলেজে ডি. এল. রিচার্ডসনের কাছে মাত্র কয়েকদিন ইংরেজি পড়েছিলেন। রিচার্ডসনের ইংরেজি পড়ানোর স্মৃতি তাঁর জীবনে গভীর দাগ কেটেছিল। ৬. শিক্ষাবিভাগের অধ্যক্ষ অ্যাটকিনসন সাহেব : শিক্ষাবিভাগের তৎকালীন অধ্যক্ষ বা ডিরেক্টর উদারচেতা ডব্লিউ. এস. অ্যাটকিনসন নিবেদিতা ও বিদ্যাসাগরের সঙ্গে কলকাতায় বালিকা বিদ্যালয় স্থাপনের ভাবনা চিন্তা করেছিলেন। কলকাতার শিক্ষা সংস্কৃতির সঙ্গে তিনি দীর্ঘদিন জড়িয়ে ছিলেন। ৭. সৈয়দ হোসেন বেলগ্রামি ঃ নিজাম রাজ্যে শিক্ষাবিভাগের অধ্যক্ষ হয়েছিলেন। তিনি কলকাতায় থাকাকালীন চন্দ্ৰনাথ বসুর সঙ্গে ‘Calcutta University Magazine নামে একটি ইংরেজি মাসিক প্ৰকাশ করেন। পত্রিকাটির পরিচালনায় অধ্যাপক প্যারীচরণের যথেষ্ট সহায়তা ছিল। তখন চন্দ্রনাথ চতুর্থ বার্ষিক শ্রেণির ছাত্র ; ঐ সময় fềf on the importance of the study of History oĩCN địsắổ đso লিখেছিলেন। ও এটি যথেষ্ট প্রশংসিত হয়েছিল।
