পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টীকা ও প্রাসঙ্গিক তথ্য వరీ শঙ্খচক্র বরাভয়ধারিণী, সিংহবাহিনী। প্রতিমা সুযোগ্য ভাস্করের দ্বারা খোদিত হওয়ায় পরম সুন্দর মূর্তি হইয়াছে।” ১০. বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা : সাধু বটকৃষ্ণ পাল’ গ্রন্থে লেখক বলেছেন, “স্ত্রীশিক্ষার প্রতি তাহার বিশেষ দৃষ্টি ছিল। পল্লীতে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপিত হইলে, যাহাতে তাহা স্থায়ী ও উন্নতি প্ৰাপ্ত হয়, সেজন্য সতত সৎ পরামর্শদান ও আবশ্যকমত। অর্থসাহায্য করিতেন। আহিরীটােলায় রামকালী বালিকা বিদ্যালয় স্থাপিত হইলে তিনি অতীব আনন্দের সহিত তাহর উন্নতিকল্পে সাহায্য দান করিয়া আসিতেছেন। উভয় বালিকা বিদ্যালয়ের বার্ষিক পারিতোষিক বিতরণ উপলক্ষ্যে তিনি পদক এবং স্বর্ণালঙ্কার প্রভৃতি দান করিয়া উৎসাহ বর্ধন করিতেন।” (সাধু বটকৃষ্ণ পাল-পৃ. ২৩৯) ১১. অন্নসত্র ও টোল প্রতিষ্ঠা : বটকৃষ্ণের জীবনীকার কাশীধামে অন্নসত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন, পল্লিগ্রামের কথা কিছু লেখেননি। তিনি শেষ বয়সে কাশীধামে ছিলেন ও সেখানে একটি অন্নসত্ৰ স্থাপন করেছিলেন। জীবনীকার জানিয়েছেন, “তিনি কাশীস্থ স্বীয় বৃহৎ আবাসে একটি অন্নসত্র স্থাপন করিয়া তাহাতে অন্তত পঞ্চদশটি ব্রাহ্মণ ছাত্র তথায় যথোপযুক্ত আহারাদি প্রাপ্ত হইয়া, অধ্যাপকগণের নিকট বেদ শিক্ষা করিতে পারেন, তাহার সুব্যবস্থা করেন। আহারাদির অভাবে যাহাতে ব্ৰাহ্মণ বেদ পাঠাখী ছাত্ৰগণের কোন অসুবিধা না ঘটে, সে বিষয়ের সুচারু ব্যবস্থা করিতেও বিস্মৃত হন নাই। তঁহার স্বৰ্গারোহণের পরে তদীয় পুত্ৰগণও সেই ব্যবস্থা মতো কার্য পরিচালিত করিয়া, পিতৃকীর্তি রক্ষা করিয়া আসিতেছেন।” (সাধু বটকৃষ্ণ পাল-পৃঃ ২৪০-২৪১) ১২. কলকাতায় টোল প্রতিষ্ঠা : সাধু বটকৃষ্ণ পাল’ নামক গ্রন্থে তার লেখক জানিয়েছেন, “সেই সময়ে- রামলাল স্মৃতিতীৰ্থ নামক স্মৃতিশাস্ত্ৰজ্ঞ জনৈক ব্রাহ্মণ পণ্ডিত বেনিয়াটােলা পল্লীতে বসবাস ও একটি টোল স্থাপনের জন্য সাধু বটকৃষ্ণের নিকট সাহায্য প্রার্থী হইলে, তিনি সানন্দে প্ৰস্তাবটি কাৰ্য্যে পরিণত করিতে প্রতিশ্রুত হয়েনি।” dè খাজে আবদুল গনি, নওয়ার জন্ম ৪ ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দে ঢাকায় । ১৮৬৯-এ সিয়া সুন্নি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষ তার হস্তক্ষেপে বন্ধ। ১৮৭৫-এ ঢাকা শহরে পরিশ্রুত জলের কােল স্থাপন ১৮৬৬-এ অনারারি ম্যাজিষ্ট্রেট, বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক পরিষদের সদস্য। ১৮৬৭-এ গভর্নর জেনারেলের আইন পরিষদের সদস্য। HJLBeqS0 S S S S KS BDLEEDSg DS ১৮৭৫-এ তাকে ও তীর পুত্র আসানুল্লাকে একসঙ্গে নওয়ার (নবাব) উপাধি দান।