পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ა 8\ჯტ বঙ্গ-গৌরব at a cost of more than Rs. 5,000. Sir charles Elliot, the then Lieutenant governor of Bengal, was kind enongh to lay the foundation-stone of that noble asylum in July 1893. It was named after his devoted wife, and now known as the "Rajkumari Leper Asylum". ২২. মহেন্দ্রলালের সঙ্গীত ঃ মৃত্যুর কিছুকাল পূর্বে রোগযন্ত্রণার মধ্যে ও তিনি বেশ কয়েকটি সঙ্গীত রচনা করেছিলেন। সেগুলির দুটি উদ্ধৃত করা হােল ঃ (১) ভয় করোনা রে মন, দেখে শমন আগমন, শত্রু নয় সে পরম বন্ধু, তাকে কর আলিঙ্গন। এসেছে প্রভুর আজ্ঞায়, লয়ে যাইতে তোমায়, করিতে তোমার সব দুঃখ জ্বালা বিমোচন। বাধা আছ ভূমণ্ডলে, কঠিন মায়ার শৃঙ্খলে, এসেছে সে কাটিতে, ঐ দারুণ বন্ধন। দেহ পিঞ্জরের দ্বারা করিয়ে উন্মোচন, দিতে তোমায় সুখময় অনন্ত জীবন। (২) জীবন ফুরায়ে এলো, তবু ভ্ৰম ঘুচিলনা। আলো থাকতে দেখতে পেলেনা, আঁধারে কি করবে বলনা। জ্ঞানচর্চা অনেক হােল, আসল জ্ঞান না জন্মিল, পাপেতে নিবৃত্তি, ধর্মে প্রবৃত্তি, (ঈশ্বরে ভক্তি) ভুলেও হােলনা ; মানব জনম বৃথা গেল, একবার ভাবিলে না, এখন আর আছে কি উপায়, (সেই) জগৎ পিতার কৃপা বিনা। হে কৃপাসিন্ধু, দয়াময় দীনবন্ধু ; ডাক তীরে, প্রাণভরে হযে তনমনা, স্থির থাক সেই আশে, করোনা কোন ভাবনা। উপরোক্ত গান দুটি মনোরঞ্জন গুপ্ত লিখিত ‘ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার” নামক গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃত। পৃ. ৭৫-৭৬ রমেশচন্দ্ৰ দত্ত ১. বিহারীলাল গুপ্ত (১৮৪৯-১৯১৫) ঃ প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বি.এ. পাশ করে ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে উচ্চশিক্ষার জন্য বিলেত যাত্রা করেন। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রমেশচন্দ্ৰ দত্ত সেখানে তার সহপাঠী ছিলেন। ভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাশ করে এসে ব্যারিস্টার হন। ভারতীয় বিচারকদের ইউরোপীয় অপরাধীদের বিচার করার ক্ষমতা না থাকা রীতির বিরুদ্ধে তার মনে তীব্র প্রতিবাদ ওঠে রমেশচন্দ্রের পরামর্শে গভর্নরের কাছে তিনি একটি নোট পাঠান। এই নোটটি সরকারি অনুমোদন লাভ করে