পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

总念8 বঙ্গ-গৌরব ৩৩. ভীষ্ম ও পৌরাণিক নাটক। ৮ জানুয়ারি ১৯১৪ ৷৷ ২৩৬ পূ.। w8. N9. সিংহল বিজয় ঃ ঐতিহাসিক নাটক। ২৩ আশ্বিন, ১৩২২ (১৩ অক্টোবর, ১৯১৫) বঙ্গনারী ঃ (সামাজিক নাটক)। ১৩২২ (১০ এপ্রিল, ১৯১৬)। ১৪১ পূ.। ৩৬. মন্দ্ৰ ঃ কাব্য। ১৩০৯। ১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯০২ ৷৷ ১০৪ পৃ. । «ՁԳ. আলেখ্য ঃ কাব্য। ১৩১৪ সােল। (৮ জুলাই, ১৯০৭)। ১১২ পূ.। ৩৮. ত্রিবেণী (খণ্ডকাব্য) ঃ ২৫ শ্রাবণ ১৩১৯ । (৫ সেপ্টেম্বর, ১৯২২)। ৮৫২ পূ.। Vidd, 8d. 8. পূর্ণিমা মিলন : দ্বিজেন্দ্রলাল অত্যন্ত মজলিশি মানুষ ছিলেন। অনেক জ্ঞানী গুণী, সঙ্গীতজ্ঞ, সাহিত্যরসিকের তার বাড়িতে যাতায়াত ছিল। স্ত্রীবিয়োগের পর তিনি বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে সময় কাটাতে ভালবাসতেন। ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি ‘পূর্ণিমামিলন’ নামে একটি সম্মেলনের প্রতিষ্ঠা করেন। এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য ও অভিপ্ৰায় সম্পর্কে তিনি একটি চিঠিতে জানিয়েছেন, “এক নূতন খেয়াল মাথায় আসিয়াছে। ... প্রতি পূর্ণিমায় দেশশুদ্ধ সাহিত্যসেবী ও সাহিত্যানুরাগীদের একত্র করিয়া এক একস্থানে এক এক বার প্রতি পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে মিলন” করা হইবে। নাম হইবে পূর্ণিমা-মিলন। ইহাতে কলিকতাস্থ সমুদায় সাহিত্যিকদের মধ্যে অবারিতভাবে মেলা-মেশা, ভাব-বিনিময়, প্রতিবর্ধন ও পরিচয়াদি হইবে...” দ্বিজেন্দ্রলালের ৫নং সুকিয়া স্ট্রিটের বাস ভবনে ১৩১১ বঙ্গাব্দের দোলপূর্ণিমার সায়াহ্নে পূর্ণিমা মিলন-এর প্রথম অধিবেশন বসে। এটি প্রায় দু-বছর ধরে চলেছিল। ভারতবর্ষ ঃ ১৩২০ বঙ্গাব্দের আষাঢ়ে শুভ সূচনা। ঋগবেদীয় স্বস্তিবচন ও দ্বিজেন্দ্রলালের ‘ভারতবর্ষ’ কবিতা দিয়ে পত্রিকার সূচনা। ভারতমাতার রঙিন চিত্রসহ দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘ভারতবর্ষ’ কবিতা, নিস্তারিণী দেবীর ধারাবাহিক ‘সেকালের কথা, চিত্তরঞ্জন দাসের “সাগরসঙ্গীত', অনুরূপ দেবীর ধারাবাহিক শল্প মন্ত্রশক্তি” প্রভৃতি দিয়ে প্রথম সংখ্যা শুরু। সম্পাদক ছিলেন জলধর সেন ও অমূল্যচরণ বিদ্যাভূষণ। অবশ্য ‘ভারতবর্ষ-এর প্রথম বর্ষের প্রথম সংখ্যার পরিকল্পনা, রচনা নির্বাচন, এমনকি সম্পাদকীয় পর্যন্ত লিখে গিয়েছিলেন দ্বিজেন্দ্রলাল। শিল্পী দ্বিজেন্দ্ৰ গোস্বামী অঙ্কিত ভারতবর্ষ নামে একটি চিত্ৰ (সমুদ্রের ঢেউ থেকে ভারতমাতা উঠছেন। মাথায় মুকুট। গলায় সাতনরি হার, ডান হাতে শস্যগুচ্ছ। আকাশে এক পাশে উদীয়মান চন্দ্র, ও অন্যদিকে বিলীয়মান সূর্য। দ্বিজেন্দ্রলালের বিখ্যাত কবিতা-যেদিন সুনীল জলধি হইতে...) পত্রিকার নামকরণকে সার্থক করেছিল। ১৩২০ থেকে আমৃত্যু ১৩৪৫ এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন জলধর সেন। পত্রিকাটি দীর্ঘজীবী হয়েছিল। পরলোকগমন ঃ ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৩২০ শনিবার রাতৃ সাড়ে ন’টায় তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হন।