2 ܐܶܮ݂ . > Q, >之。 বঙ্গ-গৌরব নিউ-ইণ্ডিয়া ৪ বিপিনচন্দ্ৰ পাল সম্পাদিত বিখ্যাত ইংরেজি সাপ্তাহিক নিউ ইণ্ডিয়া। এটির প্রথম সংখ্যা প্ৰকাশিত হয় ১৯০১ এর ১২ আগস্ট। বিপিনচন্দ্ৰ এর সম্পাদক হলেও এই পত্রিক পরিচালনায় দাশ (চিত্তরঞ্জন) পরিবারের পৃষ্ঠপোষকতা ছিল। দেশবন্ধুর জ্যেষ্ঠতাত দুৰ্গামোহন দাশ মহাশয়ের বড় ছেলে সত্যরঞ্জন দাশ এই পত্রিকার ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ছিলেন। ১৯০৭-এর শেষ নাগাদ এটি বন্ধ হয়ে যায়। . বন্দেমাতরম ঃ স্বদেশী আন্দােলনের ফলে চবমপহীদের (এক্সট্রিমিস্ট) নেতা বিপিনচন্দ্ৰ পালের উদ্যোগে ইংরেজি দৈনিক রূপে এটি প্রকাশিত হয়। স্বদেশী আন্দোলনের প্রথম জন্মবার্ষিকীতে এটি প্রকাশের ইচ্ছা থাকলেও বিপিনচন্দ্ৰ বিশেষ কারণে ঐ সময় উপস্থিত না থাকতে পারার দরুন ৬ আগস্ট এই পত্রিকার প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। সম্পাদক নিজেই বিপিনচন্দ্ৰ পাল, অরবিন্দ ঘোষ, শ্যামসুন্দর চক্রবতী, হেমেন্দ্ৰপ্ৰসাদ ঘোষ এই পত্রিকার লেখকগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। ১৯০৬ এর আগস্ট থেকে ১৯০৮-এর অক্টোবর পর্যন্ত প্ৰায় দুবছর দুমাস ও তিন সপ্তাহ জীবিত ছিল। ১৯০৬-এর ৬ আগস্ট থেকে ১৮ অক্টোবর এবং ১৯০৮-এর মে মাস থেকে ১৯০৮-এর ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এর প্রধান সম্পাদক ছিলেন বিপিনচন্দ্ৰ পােল। মাঝের সময়টুকু অর্থাৎ ১৯০৬-এর অক্টোবরের মধ্যভাগ থেকে ১৯০৮ এর ৩০ এপ্রিল সম্পাদক ছিলেন অরবিন্দ ঘোষ । ডেমোক্রাট ৪ এলাহাবাদ থেকে প্রকাশিত ইংরেজি সাপ্তাহিক পত্রিকা ১৯১৯-২০ খ্রিস্টাব্দে বিপিনচন্দ্রর সম্পাদনায় প্রকাশিত হোত । দি ইণ্ডিপেণ্ডেণ্ট ঃ ১৯১৯-২০-তে বিপিনচন্দ্রের সম্পাদনায় এলাহাবাদ থেকে এই ইংরেজি দৈনিকটি প্রকাশিত হয়। বিপিনচন্দ্ৰ মতিলাল নেহরুর পরিচালিত এই পত্রিকায় নিন কো-অপারেশন আওয়ার লাস্ট চান্স” শিরোনামায় দশটি প্ৰবন্ধ লেখেন। এই সব প্রবন্ধে তিনি মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগের মূলনীতিকে সমর্থন করেন। পরে এই আন্দোলনের কর্মসূচির রূপায়ণ নিয়ে মতিলালের সঙ্গে মতান্তর হওয়ায় তিনি এই পত্রিকার সম্পাদকের পদ ত্যাগ করেন। শোভনা ঃ প্রথম যৌবনে রচিত উপন্যাস শোভনা। প্রথম প্ৰকাশ, মাঘ ১২৯০ (জানু. ১৮৮৪)। বেশ কয়েকটি মুদ্রণ প্রকাশিত হয়। মোট পাঁচটি খণ্ডে (১ম১১টি, ২য়-১৫টি, ৩য়, -১৭টি, ৪র্থ ৫টি এবং ৫মটি খণ্ডিত অধ্যায় গ্রথিত। এটি একটি দেশাত্মবোধক উপন্যাস। ভারতসীমান্তে রুশ ৪ বিপিনচন্দ্রের প্রবন্ধ গ্ৰন্থ (১৮৮৫)। গ্রন্থটির আখ্যাপত্রে গ্রন্থ নামের নীচে অর্থাৎ উপগ্রন্থনামে রয়েছে অথবা অতি প্রাচীনকাল হইতে বর্তমান সময় পর্যন্ত মধ্য আসিয়ায় ভারতের দিকে রুশের রাজ্যবিস্তারের বিবরণ।” গ্রন্থটি ন’টি অধ্যায়ে বিভক্ত।
