পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Scab বঙ্গ-গৌরব ২৩. স্বরাজ পত্ৰ ঃ বিপিনচন্দ্ৰ। ১৯০৮-এর আগস্টে লন্ডন যান। ১৯০৯-এর মার্চে তিনি লন্ডন থেকে স্বরাজ” নামে একটি পাক্ষিকপত্র প্রকাশ করেন। মহারাজ মণীন্দ্ৰচন্দ্ৰ নদী ১. কাশিমবাজারের রাজবংশ ৪ কাশিমবাজারের জমিদার বংশে কালী নদীর নামই প্রথম পাওয়া যাচ্ছে। তঁর পুত্র রাধানাথ নন্দী! রাধানাথ নদীর পুত্র দেওয়ান কৃষ্ণকান্ত নদী। ইনিই ‘কস্তনদী’ নামেই সুপরিচিত। এঁর পুত্র লোকনাথ ও পুত্রবধু সুসারময়ী। এদের পুত্র হরিনাথ ও পুত্রবধু হরসুন্দরী। হরিনাথের পুত্ৰ কৃষ্ণনাথ ‘রায় বাহাদুর’ উপাধি লাভ করেছিলেন। এর স্ত্রী স্বর্ণময়ী। এই দম্পতি যথেষ্ট রূপবান ছিলেন। এঁদের দুই কন্যা অকালে মৃত্যুবরণ করেন। ফলে এই বংশের এখানেই শেষ। পরে কৃষ্ণনাথের ভাগিনেয়। মণীন্দ্ৰচন্দ্ৰ নদী এই জমিদারীর উত্তরাধিকারী হন। ২. মণীন্দ্ৰচন্দ্ৰ নদী ঃ ১২৬৭ সালের ২৮ জ্যৈষ্ঠ (ইং ১৮৬০ এর ২৯ মে) মঙ্গলবার অপরাহু ৫টা ১৪ মিনিটের সময় শ্যামবাজারে ৩৭ নং রামকান্ত বোস স্ট্রিটে পৈতৃক বাটিতে মণীন্দ্ৰচন্দ্ৰ নদী জন্মগ্রহণ করেন। ৩. নবীনচন্দ্ৰ ঃ কাশিমবাজারে রাজবাড়ির জামাতা ছিলেন। তিনি মহারাজা লোকনাথ রায়ের পৌত্রী, হরনাথ রায়ের কন্যা গোবিন্দসুন্দরীকে বিবাহ করেন। আর হরিনাথের একমাত্র পুত্র ছিলেন কৃষ্ণনাথ । ৪। হরনাথ ৪। হরনাথ নয় হবে হরিনাথ। ৫. কৃষ্ণনাথ ও স্বৰ্ণময়ী ঃ রাজা হরিনাথ রায়ের একমাত্র পুত্র কৃষ্ণচন্দ্র রায় স্বর্ণময়ীকে বিবাহ করেন। স্বর্ণময়ী (১৮৯৭) বর্ধমানে ভটোকোলের এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। অপরূপ সুন্দরী হওয়ায় মাত্ৰ ১১ বছর বয়সে কাশিমবাজারের কুমার কৃষ্ণনাথ নদীর সঙ্গে বিয়ে হয়। কোনো এক অজ্ঞাত কারণে কৃষ্ণনাথ আত্মহত্যা করলে মহারাণী মাত্র ১৭ বছর বয়সে বিধবা হন। ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি (বঙ্গাব্দ ১৩০৪ সালের ১০ ভাদ্র) লোকান্তরিত হন। ৬. স্বৰ্ণময়ীর বিষয়ের অধিকারিণী হওয়া : যে কোনো কারণেই হােক কৃষ্ণনাথ মৃত্যুর পূর্বে র্তাহার সমস্ত বিষয়সম্পত্তি কোম্পানি বাহাদুরের হাতে ন্যস্ত করে যান। কৃষ্ণনাথের পত্নী স্বর্ণময়ী সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে এই সম্পদ ফিরে পান। এই সম্পত্তি তখন শাশুড়ী হরসূন্দরীর অধীনে চলে আসে। তিনি তখন কাশীধামে। তিনি নিজে তখন এই সম্পত্তি তার একমাত্র দৌহিত্রী ও উত্তরাধিকারী মণীন্দ্ৰচন্দ্রের হস্তে সমর্পণ করেন। ৭. মণীন্দ্ৰচন্দ্রের বিপুল সম্পত্তি লাভ ৪ ১৮৯৮ এর ৩০ মে মণীন্দ্ৰচন্দ্র রাজবাড়ির বিপুল সম্পত্তির অধিকারী হন ও মহারাজা” উপাধিলাভ করেন। ৮ বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদে ভূমি দান ঃ ‘পরিষৎ পরিচয়” গ্রন্থে বিশিষ্ট গবেষক ও পরিষৎ-প্রাণ ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় লিখেছেন. প্রশস্ত ভূমির উপর আপনার উপযোগী অধিষ্ঠান ভবন নির্মাণ না করিলে পরিষদের উন্নতির সম্ভাবনা নাই বুঝিয়া কাশীমবাজারের বিদ্যোৎসাহী বদান। মহারাজ শ্ৰীযুক্ত মণীন্দ্ৰচন্দ্ৰ নদী বাহাদুরের নিকট কিছু ভূমি ভিক্ষা