পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/২৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টীকা ও প্রাসঙ্গিক তথ্য ჯუჯა) ১৮. রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় ঃ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অন্যতম সুহৃদ ছিলেন রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সংস্কৃত কলেজের সংস্কৃতের অধ্যাপক ছিলেন। রাজনারায়ণ বসুর কাছে শুধু বিদ্যাসাগর ইংরেজি শেখেননি, রাজকৃষ্ণ বাবুও ছিলেন। ‘নববাবুবিলাস’ ‘নববিবিবিলাস' খ্যাত ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুত্র ছিলেন রাজকৃষ্ণ। সুকিয়াস্ট্রিট রাজকৃষ্ণবাবুর বাড়িতে বিদ্যাসাগর প্রায়ই বেড়াতে যেতেন। ১৮৫৬ এর ৭ ডিসেম্বর বিদ্যাসাগরের উদ্যোগে প্রথম বিবাহ হয় রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বারো নম্বর সুকিয়া স্ট্রিটের বাড়িতে। পাত্র পাত্রী যথাক্রমে শ্ৰীশচন্দ্ৰ বিদ্যারত্ন ও কালিমতী দেবী। কলকাতা হাইকোর্টে ব্যারিস্টারি করার অনুমতি চেয়ে মাইকেল প্রধান বিচারপতির কাছে একটি চিঠি দেন। প্রধান বিচারপতির কোনো আপত্তি না থাকলেও কোনো কোনো বিচারপতি মাইকেলের চরিত্র সম্পর্কে প্রশ্ন তোলেন। তাই মধুসূদনকে বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট জনের কাছে চরিত্রের সার্টিফিকেট জোগাড় করতে হয়। মধুসুদন এই মর্মে বিদ্যাসাগরকে (১৮৬৭ এর ১১ এপ্রিল) একটি চিঠি লিখে তার প্রয়োজনীয়তার কথা জানান। ১৮৬৭ এর ২০ এপ্রিল বিদ্যাসাগর, রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্ৰসন্নকুমার সর্বাধিকারী-এই তিনজনে একসঙ্গে একটি সাটিফিকেট দেন ও মাইকেল ব্যারিস্টারি করার অনুমতি পান । পিতা ভবানীচরণের মৃত্যুর পর “সমাচার চন্দ্রিকা’র সম্পাদক হলেন পুত্র রাজকৃষ্ণ বন্দোপাধ্যায়। কিন্তু “সমাচার চন্দ্ৰিকা’র আর সেদিন ছিল না। ‘সংবাদপ্রভাকর।’ ও সংবাদপূৰ্ণচন্দ্ৰোদায়ের দাপটে ‘সমাচার চন্দ্ৰিকা” ঠিক মতো চালাতে পারলেন না রাজকৃষ্ণ। দেউলিয়া হয়ে গেলেন পত্রিকা চালাতে গিয়ে। আর এই পত্রিকাটি কিনে নিলেন ভগবতীচরণ চট্টোপাধ্যায়। বিদ্যাসাগরের একান্ত শ্ৰীতিভাজন রাজকৃষ্ণ সংস্কৃত শিখতে চাইলে বিদ্যাসাগর সংস্কৃত ব্যাকরণের উপক্ৰমণিকা লিখে ফেললেন। প্রকাশকাল-নভেম্বর ১৮৫১ ৷৷ এটি রাজকৃষ্ণের পনেরো যোলো বছর বয়সের কথা। তারপর ১৮৮৯ সালে বিদ্যাসাগরের সংস্কৃত ব্যাকরণের উপক্ৰমণিকার ইংরেজি অনুবাদ করলেন এই rt Introduction to Sanskrit grammar in Bengali. Translated into English with additions by Rajkrishna Banerjee." ffG উপক্রমণিকাটির শুধু পুরোপুরি অনুবাদ করেননি প্রয়োজনবোধে কিছু কিছু vieGriffers (PGSC fants fif, fierceir, "The translator, from his experience as a teacher of Sanskrit at the Presidency College felt necessity of enlarging certain parts of the work for the better comprehension of the learners..... ১৮৫১ এর জুলাই মাসে রাজকৃষ্ণের নীতিবোধ’ নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এই বইটি বিদ্যাসাগর লিখতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু সময়াভাবে আর পেরে উঠেননি। তঁর বইতে বিদ্যাসাগরের বিনয়” নামে প্ৰবন্ধ ছিল। এছাড়া তিনি