পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SVV বঙ্গ-গৌরব হয়। জন্ম তারিখ ১২৬১ সালের ১০ আষাঢ় শুক্রবার শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথদেবের রথযাত্রার দিন । ৩. কালীগঞ্জের ইংরেজি বিদ্যালয়ে শিক্ষা ৪ ভ্যাবলা থেকে কালীগঞ্জ প্ৰায় তিরিশমাইল দূরবতী। সেখানে নীলকুমার চট্টোপাধ্যায় নামক এক আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে রাজেন্দ্রনাথ ইংরেজি বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছিলেন। ৪. বারাসাতে এক আত্নীয়ের বাসায় ঃ রাজেন্দ্ৰনাথের পিতা ভগবানচন্দ্র যখন বারাসাতে মোক্তারি করতেন, সে সময় জয়গোপাল মুখোপাধ্যায় নামে একটি বালক তার সাহায্য প্রার্থী হয় ও পরে ভগবানচন্দ্রের আগ্রহে জয়গোপাল লেখাপড়া করেন। পরে তিনি ভগবানচন্দ্রের সহায়তায় বারাসাতে একটি কাজ পান। এটি রাজেন্দ্রনাথের মা ব্ৰহ্মময়ী দেবীর জানা ছিল। পিতৃহীন রাজেন্দ্রনাথের অবস্থার কথা জানালে তিনি আনন্দে, কৃতজ্ঞচিত্তে রাজেন্দ্রনাথকে বাসায় নিয়ে এসে একটি ইংরেজি স্কুলে ভরতি করে দেন। ওখানে থাকার সময় পুত্র মাঝেমাঝে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে দেখে মা ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে এলেন। এর মধ্যেই আশ্রয়দাতা জয়গোপালের পরলোক গমনে রাজেন্দ্ৰনাথের লেখাপড়ার সম্ভাবনা একেবারে শেষ হয়ে যায়। ৫. আগ্ৰায় মাতুলালয়ে যাত্রা ৪ ব্ৰহ্মময়ীর জ্যেষ্ঠ সহােদর তথা রাজেন্দ্রনাথের মাতুল পণ্ডিত দ্বারকানাথ ভট্টাচার্য সে সময় আগ্রা শহরে কালীবাড়ি প্রতিষ্ঠা করে বাস করছিলেন। বাধ্য হয়ে ব্ৰহ্মময়ী পুত্রকে দাদার কাছে পাঠালেন। ভ্যাবলা থেকে বারাসাত ২৬ মাইল, বারাসত থেকে ব্যারাকপুর আট মাইল, এই চৌত্ৰিশ মাইল পদব্রজে চলার পর ব্যারাকপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। এর পর গঙ্গাপার হয়ে বৈদ্যবাটি স্টেশন হয়ে আগ্রা যাওয়ার ট্রেন ধরেন রাজেন্দ্ৰনাথ । ৬ আগ্রা থেকে সুকৌশলে ফিরিয়ে আনা ঃ মাতৃদেবী ব্ৰহ্মময়ী কঠিন পীড়ায় আক্রাস্ত এই মর্মে আগ্ৰায় তার যাওয়ায় তৎক্ষণাৎ রাজেন্দ্ৰনাথ বাড়ি ফিরে এলেন ও রাজেন্দ্রনাথের অনিচ্ছায় ষোলো সতেরো বছর বয়সে তার বিয়ে দেওয়া হোল। তার পত্নীর বয়স তখন মাত্ৰ বাবে বছর। ৭. কলিকাতায় পড়াশোনা ঃ রাজেন্দ্রনাথের এক খুড়তুতো ভাই যোগেন্দ্রনাথ কলকাতা মিউনিসিপ্যালিটিতে মোটা মাইনের ট্যাক্স কালেক্টরের কাজ করতেন। ভবানীপুরে তার বাসা ছিল। রাজেন্দ্রনাথ তারই বাসায় থেকে লন্ডন মিশনারি সোসাইটির স্কুলে ভরতি হন। পড়াশোনা করে এনট্রান্স পরীক্ষায় পাশ করেন। রাজেন্দ্রনাথ কিন্তু মতিলাল শীলের স্কুলে পড়েননি। ৮, প্রেসিডেন্সি কলেজের অন্তৰ্গত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ৪ প্ৰবেশিকা পাশের পর রাজেন্দ্রনাথ প্রেসিডেন্সি কলেজে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য ভরতি হন। পরবর্তীকালে এই ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগটি পৃথক হয়ে শিবপুর বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নামে অভিহিত হয়েছে। তিনি তিন বছর এই কলেজের পূর্ত বিভাগের কাজ শিখেছিলেন। ডিগ্রি লাভের আগেই স্বাস্থ্যহানির জন্য ৩াকে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়।