পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টীকা ও প্রাসঙ্গিক তথ্য ܬ2ܔ বইটি প্রকাশিত হবার পর কবি রবীন্দ্ৰনাথ মন্তব্য করেছিলেন এভাবে-“জাতকের বাংলা অনুবাদ পরলোকগত ঈশানচন্দ্র ঘোষ মহাশয়ের একটি আশ্চর্য কীর্তি। বৃহৎ এই গ্ৰন্থখানির মধ্যে কোথাও শৈথিল্য নাই, সর্বত্রই লেখকের পাণ্ডিত্যপূর্ণ গবেষণার পরিচয় আছে। এরূপ বহুশ্রমসাধ্য ও চিন্তাসাধ্য অধ্যবসায় বাংলাসাহিত্যে বিরল। এই অসামান্য উদ্যোগে লেখক বাংলা পাঠকদের নিকট চিরস্মরণীয় হইয়া রহিলেন। এই গ্ৰন্থখানির অনুশীলন করিয়া অনেক উপকার পাইতেছি; সেইজন্যও অনুবাদকের নিকট ব্যক্তিগতভাবে আমি কৃতজ্ঞ।” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৩৪৩৷৷ ১১. কসৌলি পাস্তুর ইনস্টিটিউটে বড় বাংলো ৪ সেকালে পাগলা কুকুরে কামড়ালে জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক টিকা নেবার ব্যবস্থা ছিল সিমলার কাছে কসৌলির পাস্তুর ইনস্টিটিউটে। সেখানে বহিরাগত রোগীদের বাসস্থানের অসুবিধা দেখে তার লোকান্তরিত পত্নী শশিমুখীর স্মৃতির উদ্দেশে একটি বাংলো তৈরি করে দেন। ১২. যাদবপুর যক্ষ্মা হাসপাতাল ঃ ঈশানচন্দ্রের কন্যা ভুবনেশ্বরীর যক্ষ্মা রোগে মৃত্যু হওয়ার পর তিনি কন্যার স্মৃতিরক্ষার জন্য যাদবপুর যক্ষ্মা হাসপাতালে একটি শয্যার ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থদান করেন। ১৩. পরলোকগমন ঃ ১৯৩৫ এর ২৮ অক্টোবর ৭৭ বৎসর বয়সে তিনি পরলোক গমন করেন। ৭৫ বছর বয়সে নয়। ১৪. পুত্ৰ প্ৰফুল্প চন্দ্ৰ ঃ (৩.৩.১৮৮৩-২৭৩.১৯৪৮) ইনি পণ্ডিত ঈশানচন্দ্র ঘোষের জ্যেষ্ঠপুত্র ছিলেন। হেয়ার স্কুল ও প্রেসিডেন্সি কলেজে শিক্ষালাভ করেন। ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দে ইংরেজিতে এম.এ. পাশ করেন। এবং ১৯০৭ এ প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তি পান। ১৯০৫ föGICKIT “India as known to Ancient and Mediaeval Europe” fRK4F fo1CR “গ্রিফিথ পুরস্কার” লাভ করেন। প্রেসিডেন্সি কলেজের একটি রেকর্ড থেকে জানা যায় তিনি ১৯০৪, ১৯০৬-১৯৩৯ ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপকররূপে এবং ১৯৩৯ থেকে di 8v PÍS ENCARGIPT OFToks (Emeritus Professor) Mo KFFET «FGR | 33 আগে একমাত্র ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে এমেরিটাস অধ্যাপক হয়েছিলেন বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্ৰ বসু। শেক্সপীয়রের ভাষ্যকার হিসেবে একসময় তিনি বিপুল খ্যাতি লাভ করেছিলেন। পিতার নামে ঈশান অনুবাদমালা’ গ্ৰন্থরচনার জন্য তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে ৩০ হাজার টাকা দান করেন। পরে তার বিরাট গ্রন্থ সংগ্ৰহ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়ে यe । ১৫. প্রতুলচন্দ্র ঘোষ ও ঈশানচন্দ্রের কনিষ্ঠপুত্র প্রতুলচন্দ্রের জন্ম হয় ১৯০০ সালে। পিতাও জ্যেষ্ঠভ্রাতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনিও শিক্ষকতা বৃত্তি গ্রহণ করেন ও সেই সূত্রে কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজে ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপনা করেন।