পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/৩০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টীকা ও প্রাসঙ্গিক তথ্য ܪ*ܓ রচনা অংশের সূচনায় রবীন্দ্রনাথের ‘গান', অমূল্যচরণ বিদ্যাভূষণের “ফকীরের ধর্ম’ মহম্মদ বরকুতউল্লাহের’ ত্রুসেডের পরিণাম’, মোহাম্মদ শহীদুল্লাহের "ভারতের সাধারণ ভাষা’, কাজী আবদুল ওদুদের ‘সাহিত্যিকের সাধনা’ বিশেষ উল্লেখযোগ্য রচনা। এছাড়া হেমলতা দেবী, চণ্ডীচরণ মিত্র, কুমুদরঞ্জন মল্লিক, শশাঙ্কমোহন সেন, মোহিতলাল মজুমদার প্রভৃতি এই পত্রিকার লেখক ছিলেন। এছাড়াও তিনি শান্তিপুর মাসিক সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন। ১৮. স্কুল পাঠ্যপুস্তক : শিশুরঞ্জন, বর্ণশিক্ষা, সাহিত্যশিশু, পদ্যশিক্ষা, সরল বাংলা শিক্ষা প্রভৃতি কয়েকটি স্কুল পাঠ্যপুস্তক ও রচনা করেছিলেন। যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত ১. জন্ম ৪ ১৮৮৫ সনের ২২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলার বরম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত। 藻 ২. পিতা : 'যাত্রামোহন সেনগুপ্ত, মা বিনোদিনী দেবী। ৩ বিদ্যালয় শিক্ষা ঃ চট্টগ্রামের হাজারী স্কুল, পরে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল। কলকাতায় ভবানীপুর সাউথ সাবার্বান স্কুল, পরে হেয়ার স্কুল। এবং এই হেয়ার স্কুল থেকেই তিনি এনট্রান্স পাশ করেন। (ভারত সরকারের তথ্যও বেতার মন্ত্রক কর্তৃক প্রকাশিত পদ্মিনী সেনগুপ্তের লেখা ‘দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত’ বইতে ব্ৰাহ্ম বয়েজ স্কুলের উল্লেখ নেই, যদিও জলধর সেন এই স্কুলটির কথা উল্লেখ করেছেন)। ৪ বিলেত যাত্রা ৪ ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দের ৪ আগস্ট। সঙ্গে গেলেন জোঠতুতো দাদা সতীশচন্দ্ৰ সেনগুপ্ত। তিনি ডাক্তারি পড়ার জন্য গেলেন। ৫. বিবাহঃ নেলি গ্রের সঙ্গে বিয়েতে শুধু যাত্রামোহনের আপত্তি ছিল তা নয়, আপত্তি ছিল নেলির মায়েরও। তাই তারা দু’জনে কেন্ত্রিজ থেকে মাইল পনেরো দূরে রয়স্টন শহরের এক রেজেক্টি অফিসে গিয়ে গোপনে দুজনে বিয়ে করে আসেন। ৬, ভারতীয় মজলিসের সভাপতি ৪ ইন্ডিয়ান মজলিসের বির্তক সভাতেও তিনি যথেষ্ট নাম করেছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানের এবং ইস্ট অ্যাণ্ড ওয়েস্ট সোসাইটির প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ৭. ডাউনিং কলেজের সুনাম ঃ যতীন্দ্রমোহনের জীবনীকার পদ্মিনী সেনগুপ্ত জানাচ্ছেন, “ক্রিকেট ও টেনিসে তিনি কেমব্রিজের সব খেলোয়াড়ের একজন হিসাবে “য়ুনিভার্সিটির বু লাভ করলেন।” পৃ. ১২ ৮. ইংরেজ পত্নী ও দুই পুত্র ঃ ইংরেজ পত্নীর নাম নেলি গ্রে ও তঁদের দুই পুত্র শিশির সেনগুপ্ত ও অনিল সেনগুপ্ত (বুঢ়ঢা)। পরবর্তীকালে ইনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের তৃতীয় মহিলা প্রেসিডেন্ট (১৯৩৩) নির্বাচিত হয়েছিলেন। আগের অপর দুজন ছিলেন, অ্যানি বেশািস্ত (১৯১৭), সরোজিনী নাইডু (১৯২৫)। ৯. কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত ৪ পরপর পাঁচবার তিনি কলকাতার