পর্য্যন্ত শুনিয়া আসিয়াছিল। তাহার পর মাসীমাতা যখন জমিদারবাবুর সহিত রামতনুবাবুর বিধবা পুত্রবধূর দেখা করা সম্বন্ধে প্রশ্ন করিল, তখন সে মুখখানা যথাসম্ভব গম্ভীর করিয়া বলিল, এই বিধবা পুত্র-বধূটির বয়স কত?”
মাসীমাতা বলিল, “তা, কুড়ি একুশ হবে।”
সে মাথা নাড়িয়া বলিল, “দেখ্তে কেমন?”
মাসীমাতা কহিল, “পরীর মত।”
তখন সে মুখভঙ্গী-সহকারে কহিল, “দেখা কর্লে কাজ হতে পারে; কিন্তু আমি বলি, তিনি আজ রাত্রেই নৌকা ভাড়া করে বাপের বাড়ি প্রস্থান করুন।” “কেন রে?”
“এই যে বল্চ– সে দেখ্তে পরীর মত।”
“কেন, তাতে কি?”
“তাতেই সব। দেখতে পরীর মত হলে জমিদার সুরেন রায়ের কাছে রক্ষে নেই।”
মাসীমাতা গালে হাত দিলেন, “বলিস্ কি, এমন!”
বোন্পো মৃদু হাসিয়া কহিল, “হাঁ, এমন। দেশসুদ্ধ লোক এ কথা জানে।” “তবে ত দেখা করা উচিত নয়?” “কিছুতেই নয়।”
“কিন্তু বিষয়-আশয় যে সব যাবে!”
চাটুয্যে মহাশয় যখন এর ভিতর আছেন, তখন বিষয়ের আশা নেই! তার উপর গৃহস্থ-ঘরের মেয়ে– ধর্ম্মটাও কি যাবে?”
পরদিন তিনি মাধবীকে সমস্ত কথা বলিলেন। শুনিয়া সে স্তম্ভিত হইয়া গেল। জমিদার সুরেন রায়ের কথা সে সমস্ত দিন চিন্তা করিল। মাধবী ভাবিল, সুরেন রায়! নামটি বড় পরিচিত,