পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সপ্তদশ পুত্তলিকা
১২১

মাত্র তাঁহাকে পাতালে লইয়া চলিল, এবং দুর হইতে রাজার বাটী দেখাইয়া দিয়া বিদায় হইল। রাজা পুরীর সম্মুখে যাইয়া দেখিলেন তাহা কাঞ্চনময়, নানা রত্নে ভূষিত, এবং তাহার জ্যোতিঃ এমত দীপ্তিকর যে তাহাতে দিবা রাত্রি প্রভেদ হয় না। ঐ পুরীর সকল দ্বারে প্রস্ফুটিত পদ্মপুষ্প ঝুলিতেছে, এবং সকল গৃহে সর্ব্বদা আনন্দধ্বনি হইতেছে।

 রাজা ভয় ও উল্লাসের সহিত দ্বারে উপস্থিত হইয়া বিনয়পূর্ব্বক দ্বারপালদিগকে বলিলেন তোমরা রাজার নিকটে গিয়া সংবাদ দাও ভূলোক হইতে এক রাজা তাহাকে দর্শন করিতে আসিয়াছেন। এই কথায় এক জন দ্বারী রাজাকে সংবাদ দিতে গেল। রাজা বিক্রমাদিত্য দ্বারে দণ্ডায়মান থাকিয়া মনে মনে কহিতে লাগিলেন আমি এপর্যন্ত আসিয়াছি এই আমার পরম ভাগ্য। তিনি চতুর্দিক হইতে রাম ও কৃষ্ণধ্বনি এবং রাজমন্দির হইতে বেদধ্বনি শুনিতে লাগিলেন।

 দ্বারী পাতালেশ্বরের সম্মুখে প্রণতিপুরঃসর দণ্ডাযমান হইলে, তিনি তাহার প্রতি দৃষ্টিপাত করিলেন। দ্বারপাল বলিল, মহারাজ মর্ত্যলোক হইতে এক মনুষ্য আসিয়া দ্বারে দণ্ডায়মান আছেন, তাহার মানস আপনাকে দর্শন করেন। পাতলাধিপতি এই কথা শ্রবণমাত্র গাত্রোত্থান পূর্ব্বক দ্বার দেশে আসিলেন। রাজা বিক্রমাদিত্য তাঁহাকে দর্শন করিয়া অষ্টাঙ্গে প্রণাম করিলেন। পাতালপতি সহাস্য বদনে আশী-