পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
একবিংশ পুত্তলিকা।
১৪৭

গোদাবরী তীরে এক শিবালয় আছে, রাজা প্রতিদিন শিব দর্শন জন্য তথায় গমন করেন। সেইখানে সাক্ষাৎ হইতে পারে। ইহা শুনিয়া মাধব গোদাবরী তটে মঠে গমন করিলেন, এবং মন্দিরের দ্বারের চৌকাষ্ঠের উপর এই কয়েকটা কথা লিখিয়া রাখিলেন, যথা, “আমি বিদেশস্থ ব্রাহ্মণ অতি দুঃখী এবং বিরহে ব্যাকুলিত, আমি শুনিয়াছি রাজা পরদুঃখ নিবারণ ও গো ব্রাহ্মণকে সদা রক্ষা করেন। অতএব আমি এই নগরে আসিয়াছি, যদি রাজা আমার দুঃখ দূর করেন তবে আমি প্রাণ ধারণ করিব, নতুবা গোদাবরীতে ঝাঁপ দিয়া প্রাণত্যাগ করিব, এই প্রতিজ্ঞা করিয়াছি,,।

 রাজা বিক্রমাদিত্যের এই নিয়ম ছিল অন্ন বস্ত্র হীন বা ভূমি ও অন্য দ্রব্যাকাঙ্ক্ষী বা বিবেকী কিম্বা বিরহে পীড়িত কোন ব্যক্তি নগরে আসিলে, তিনি যে পর্যন্ত তাহার দুঃখ নিবারণ না করিতেন সে পর্যন্ত জল গ্রহণ দূরে থাকুক দন্তধাবন করিতেন না। এব পর দিবস প্রাতঃকালে মন্দিরে গিয়া মহাদেবকে প্রদক্ষিণ করিতে করিতে উর্দ্ধে দৃষ্টি করিয়া দেখিলেন কোন ব্যক্তি আপনার দুঃখের বিবরণ চৌকাষ্ঠে লিখিয়া গিয়াছে। রাজা, তাহা পাঠানন্তর, মহাদেবকে প্রণাম করিয়া বাজবাটীতে আসিয়া আজ্ঞা দিলেন মাধব নামে এক ব্রাহ্মণ আমার নগরে আসিয়াছে, যে ব্যক্তি তাহাকে অন্বেষণ করিয়া আনিবে তাহাকে প্রচুর অর্থ পুরস্কার দিব। এই আজ্ঞায় বহুতর লোক মাধবের