পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬৪
বত্রিশ সিংহাসন

অগ্রিম মুদ্রা গ্রহণ পূর্ব্বক বিদায় লইল। পরে ঐরূপ আশ্চর্য্য তরণী প্রস্তুত করিয়া মন্ত্রীকে সংবাদ দিলে, মন্ত্রী নদীতীরে যাইয়া তরণী দৃষ্টে অতিশয় তুষ্ট হইলেন, এবং সুত্রধরকে তৎক্ষণাৎ পচখান গ্রাম পুরস্কার। দিলেন। তদনন্তর জলযানে আপন গ্রাসাচ্ছাদনীয় দ্রব্যাদি উত্তোলন করাইয়া, আত্মীয় গণের স্থানে বিদায় গ্রহণ পূর্বক তাহাদিগকে কহিলেন যদি আমি জীবদ্দ শায় প্রত্যাগমন করি তবে তোমাদের সহিত পুনর্ব্বার সাক্ষাৎ করিব, নতুবা এই বিদায় হইলাম। তাহার পরিবারগণ এই কথা শুনিয়া অতিশয় দুঃখিত হইল, মন্ত্রী ও অতিশয় দুঃখিত মনে নৌকারোহণ করিলেন। পরে বাদাম তুলিয়া তরণী ছাড়িয়া দিলেন, এবং যে দিক হইতে পুষ্প ভাসিয়া আসিয়াছিল সেই দিকেই গমন। করিতে লাগিলেন। গমন কালে নদীর দুই পাশ্বের বৃক্ষ। সকল বিশেষরূপে নিরীক্ষণ করিয়া দেখিতে লাগিলেন।

 মন্ত্রী এই প্রকারে কয়েক দিবস গমন করিয়া, পরিশেষে এক মহা অরণ্যানীমধ্যে পড়িলেন। তখন পথসম্বল সকল শেষ হইয়াছিল, তাহাতে মনে মনে ভাবিলেন এইক্ষণে জলযানে থাকা আর উচিত নহে, যে জন্য আসিয়াছি তাহার অন্বেষণ করি। মন্ত্রী এই চিন্তা করিতেছেন, নৌকাও বায়ুবেগে গমন করিতেছে, ইতি মধ্যে এক অপূর্ব পর্বত দৃষ্ট হইল। ঐ পর্বতের মধ্য দিয়া নিঝরজল নির্গত হইতেছিল। মন্ত্রী তাহা দেখিয়া সেই স্থানে তরী রাখিয়া তট দ্বারা গিরি