পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তৃতীয় পুত্তলিকা।
৩৯

ভক্তি ও মনােযােগ দেখিয়া তাহার প্রতি সদয় হইয়া তাহাকে বিদ্যা শিক্ষা করাইতে লাগিলেন। বিপ্র-তনয় অতি অল্প কালের মধ্যে সকল শাস্ত্রে অতি বিচক্ষণ হইয়া উঠিলেন।

 ব্রাহ্মণ-তনয় বিদ্যাভ্যাস করণানন্তর গুরুস্থানে বিদায় লইয়া কাঞ্চীপুর নগরে আসিলেন। ঐ স্থানে এক নরক্ষক নরমােহিনী নামী এক ভুবনমােহিনী কামিনীকে আনিয়া রাখিয়াছিল, যে ব্যক্তি তাহার অলৌকিক রূপ লাবণ্য দর্শনে মােহিত হইয়া প্রণয়- কাঙ্ক্ষা, অথবা তাহাকে স্থানান্তরে লইয়া যাইবার বাসনা, করিত নরভক্ষক তৎক্ষণাৎ তাহাকে ধরিয়া ভক্ষণ করিত। এই প্রকারে সহস্র সহস্র লােক তাহার উদরে গিয়াছিল। বিএ-নন্দন এই বৃত্তান্ত শুনিয়া স্বদেশে প্রত্যাগমন পূর্ব্বক প্রথমতঃ রাজা বিক্রমাদিত্যের সভায় উপস্থিত হইলেন এবং রাজাকে সেই বিবরণ বলিলেন, পরে ইহাও প্রকাশ করিলেন যদি তিনি ঐ নরমােহিনীকে নরভক্ষকের হস্ত হইতে উদ্ধার করিয়া তাহার কামিনী করিয়া দেন তবে তিনি চির-কৃতার্থ হয়েন। রাজা তাহাতে সম্মত হইয়া তাহার সমভিব্যাহারে কাঞ্চীপুরে যাত্রা করিলেন।

 তথায় উপনীত হইয়া যখন রাজা ঐ নরমােহিনীকে দর্শন করিলেন তখন তাহার মনােহর রূপ লাবণ্যে একবারে বিমােহিত হইলেন, এবং যদিও তিনি জ্ঞান দ্বারা সকল ইন্দ্রিয় জয় করিয়া ছিলেন তথাপি,