পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চম পুত্তলিকা।
৪৭

 এই বাক্যে তাহারা দুই জনে রাজা বিক্রমাদিত্যের সভায় আসিয়া বলিল, আমরা ত্রিভুবন ভ্রমণ করিলাম, কিন্তু কেহ আমাদিগের বিচার করিতে পারিলেন না, অতএব তােমার নিকট আসিলাম, তুমি আমাদের বিবাদের সিদ্ধান্ত কর। রাজা বিক্রমাদিত্য সন্দিহান হইয়া বলিলেন সম্প্রতি তােমর গৃহ গমন কর, ছয় মাস অতীত হইলে পুনর্ব্বার আমিও, তখন আমি ইহার উত্তর করিব। ইহা শুনিয়া উভয়ে প্রস্থান করিল।

 পরে রাজা বর্ম্ম পরিধান পূর্ব্বক খড়গ চর্ম্ম লইয়া বিদেশ যাত্রা করিলেন, আর প্রতিজ্ঞা করিলেন যে পর্য্যন্ত ইহার মর্ম না পাইব সে পর্যন্ত স্বদেশে প্রত্যাগমন করিব না। এই সংকল্প করিয়া ভ্রমণ করিতে করিতে সমুদ্রতীরে বহুপ্রজ এক নগরে উপস্থিত হইলেন এবং দেখিলেন অনেক উত্তম উত্তম অট্টালিকা রহিয়াছে, তাহা নানা জাতীয় রত্নে খচিত, সুতরাং তাহার অতি অপর্ব্ব শােভা হইয়াছে। তদবলােকনে রাজা মনে মনে ভাবিলেন যে রাজার এই রাজধানী, না জানি তিনি কেমল ধনবন্ত হইবেন। এই চিন্তা করিতে করিতে নগরে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন, এবং যদিও দিবাবসান হইল তথাপি নগরের প্রান্ত পাইলেন না। সন্ধ্যার সময় রাজা দেখিলেন এক বণিক নতশিরা হইয়া স্বীয় পশ্যালয়ে বসিয়া আছেন। তদ্দষ্টে রাজা তাহার সম্মুখে দণ্ডায়মান হইলেন। বণিক রাজাকে দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন তুমি কে কোন দেশ হইতে কি