পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চম পুত্তলিকা।
৪৯

ভােজন করাইলেন। এবং আপনি চণক চৰ্ষণ করিয়া রজনী বঞ্চন করিলেন।

 রাজা বণিকের আলয়ে থাকিয়া নিত্য নিত্য এই প্রকার লক্ষ মুদ্রা ব্যয় করিতে লাগিলেন, তাহাতে অদৃষ্টের পরীক্ষা হইল। তদনন্তর বল পরীক্ষার। বৃত্তান্ত বলিতেছি।

 কিয়দ্দিবস পরে ঐ বণিক এক অর্ণবযান প্রস্তুত করিয়া কোন দুর দেশে যাইবার ইচ্ছা করিলেন, এবং বিক্রমাদিত্যকে কহিলেন আমি স্থানান্তরে গমন করিব। বিক্রমাদিত্য বলিলেন আমি প্রতিশ্রুত হইয়াছি যখন তােমার কর্ম্ম উপস্থিত হইবে তখন আমি তােমার সহায়তা করিব, এই কারণ তুমি আমাকে প্রতিপালন করিয়াছ, অতএব তােমার সঙ্গে গমন করা আমার অবশ্য কর্ত্তব্য। এই কথায় বণিক তাহাকে সমভিব্যাহারে লইয়া যাত্রা করিলেন। কিছু দিবস পরে মধ্যসমুদ্রে গমন সময়ে মহাসমীরণ উঠিল। তাহাতে জলযান জলমগ্ন হইবার আশঙ্কায় বণিক ঐ স্থানে লঙ্গর করিয়া থাকিলেন। পরে ঝটিকা নিবৃত্তি হইলে বণিক অজ্ঞা করিলেন লঙ্গর তুলিয়া চল। কিন্তু লঙ্গর জলের মধ্যে মৃত্তিকাতে কেমন বদ্ধ হইয়া গিয়াছিল কেহ উঠাইতে পারিল না, সুতরাং বণিক জীবনাশায় নৈরাশ হইয়া পরমেশ্বরকে স্মরণ করিয়া কহিলেন হে ব্রহ্মাণ্ডপতে, তােম বিনা এ অকূল সমুদ্রে ত্রাণকর্তা কেহ নাই, তুমি অগতির গতি এবং দীন হীনের রক্ষাকর্তা, অতএব