পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

উপক্রমণিকা।

শাস্তি প্রদান করিতে লাগিল। ইহাতে গর্বের মত্ততা খর্ব্ব হইলে ক্ষেত্রপাল রাজকিঙ্করের পদানত হইয়া কহিল আমি অপরাধ করিয়াছি আমাকে আর প্রহার করিও না। যে সকল পথিক এই ব্যাপার দেখিয়া তথায় দণ্ডায়মান হইয়াছিল তাহারা ক্ষেত্রপালকে কহিল তুমি যে কথা উচ্চারণ করিয়াছ রাজা তাহ। স্বকর্ণে শুনিলে তোমাকে শূল দান করিতেন। ইহা শুনিয়া ক্ষেত্রপতি লোদন করিতে লাগিল, এবং প্রাণের ভয়ে জ্ঞানশূনা ও মৃতপ্রায় হইল। পরিশেষে অনেক কাতরোক্তি ও বিনতি করাতে রাজকিঙ্কর তাহাকে পরিত্যাগ করিয়া প্রস্থান করিল।

 তদনন্তর ক্ষেত্রপাল যখন যখন ঐ মঞ্চে আরোহণ করিত তখনই ঐ প্রকার অহঙ্কার প্রকাশ করিত। এক দিবস রাজা চারি জন পদাতিককে কোন প্রয়াজনানুরোধে স্থানান্তরে প্রেরণ করিয়াছিলেন। তাহারা রাত্রিকালে ঐ পথ দিয়া প্রত্যাগমন করিতেছিল এমত সময়ে ক্ষেত্রপতি মঞ্চ হইতে বলিতে লাগিল, মন্ত্রী ও কর্ম্মকারী দিগকে ডাক, তাহারা এই স্থানে এক দুর্গ নিৰ্মাণ করিয়া যুদ্ধসজ্জা করে, আমি ভোজরাজের সহিত সংগ্রাম করিয়া তাহাকে সংহার করিব, কেননা সে আমার সপ্তম পুরুষের রাজ্য অপহরণ করিয়াছে।

 পদাতিক গণ এই কথা শুনিয়া অত্যন্ত চমৎকৃত এবং কুপিত হইল। এক জন কহিল অরে এ বেটাকে মারিয়াফেল। আর এক জন কহিল, না, ইহাকে বন্ধন