বনবাণী
হারায়ে ফেলেছি সে ঘূর্ণিবায়ে
অনেক কাজে আর অনেক দায়ে।
এখানে পথে-চলা পথিকজনা
আপনি এসে বসে অন্যমনা
তাহার বসা সেও চলারই তালে,
তাহার আনাগোনা সহজ চালে।
আসন লঘু তার, অল্প বোঝা-
সোজা সে চলে আসে, যায় সে সোজা।
আমি যে ফাঁদি ভিত বিরাম ভুলি,
চূড়ার ’পরে চূড়া আকাশে তুলি।
আমি যে ভাবনার জটিল জালে
বাঁধিয়া নিতে চাই সুদূর কালে—
সে জালে আপনারে জড়াই ঠেসে,
পথের অধিকার হারাই শেষে।
নটরাজ-ঋতুরঙ্গশালা
‘নটরাজ-ঋতুরঙ্গশালা’ ১৩৩৩ সালে রচিত ও শান্তিনিকেতন আশ্রমে প্রথম অভিনীত হয়। উহাই ১৩৩৪ সালের আষাঢ় মাসে ‘বিচিত্রা’র প্রথম সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। ১৩৩৩ সালের অগ্রহায়ণ মাসে শান্তিনিকেতন আশ্রমের ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা কলিকাতায় ইহার পুনরভিনয় হয়; তখন উহার নাম দেওয়া হয় ‘ঋতুরঙ্গ’। অভিনয়পত্রীতে দেখা যায়, ‘বিচিত্রা’য় মুদ্রিত পাঠের উপর অনেক পরিবর্তন করা হইয়াছে, অনেক নূতন রচনা যোগ করা হইয়াছে। প্রধানতঃ সেই পাঠই ১৩৩৪ সালের পৌষ মাসে ‘মাসিক বসুমতী’তে ‘ঋতুরঙ্গ’ নামে মুদ্রিত।
বর্তমান গ্রন্থের পাঠ-প্রণয়ন-কালে কবি ‘বিচিত্রা’ ও ‘মাসিক বসুমতী’ উভয় পত্রিকায় প্রকাশিত দুইটি বিভিন্ন পাঠের নূতন এক সমন্বয় করিয়াছেন, সন্নিবেশক্রমেও বহু পরিবর্তন হইয়াছে।
১৭৮