পঞ্চম কল্প > o (t নিকট অগ্রসর হইল। স্মিথ আগ্রহ ভরে তাহার মুখের দিকে চাহিল ; কিন্তু নাতালী তাহার সহিত দৃষ্টি-বিনিময় না করিয়া অধোমুখে দাড়াইয়া রহিল। নাতালী সেই কক্ষে প্রবেশ করিবণমাত্র গ্রিন্স রাডিশ্লভ এবং প্রিন্স বার্কে উভয়েই তাঙ্কণর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্ত চেয়ার হইতে উঠিয়া দাড়াইয়াছিলেন । নাবালিকা রাণীর প্রতি র্তাহাদের সম্মান প্রদর্শনের ঘটা দেখিয়া স্মিথ মনে মনে না হাসিয়া থাকিতে পারিল না ; সে বুঝিল—লেফাপ-দুরন্ত রাজকায়দা’ এইরূপ অন্তঃসারঙ্গীন কপট বহিড়িম্বর মাত্র ! প্রিন্স রাডিশ্লভ রাজকুমারী নাতালীর মুখের দিকে চাহিয়া গম্ভীর স্বরে বলিলেন, “রাজকুমারি, আমার সম্মুখে যে ইংরাজ যুবক দাড়াইয়া আছে, তাহার একটা শাচনীয় ভ্রম দূর করিবার জন্তই তোমাকে এখানে আদিতে হইয়াছে। তোমার একটা অসার খেয়ালকে তোমার আন্তরিক সঙ্কল্প বলিয়া এই যুবকের ধারণা হইয়াছিল, তার সেই মিথ্য ধারণ এখনও উহার মন হইতে অপসারিত হয় নাই। এই যুবক উহার ভ্রান্ত ধারণা ত্যাগ করিতে সমর্থ হইবে, এই আশায় আমি তোমাকে দুই একটা কথা জিজ্ঞাসা করিবার অল্পমতি প্রার্থনা করিতেছি। অনুগ্রহ করিয়া আমার প্রশ্নের উত্তর দিলে সুখী হইব।—তুমি যে কাল হঠাৎ গোপনে গৃহ ত্যাগ করিয়া নিরাশ্রয় ভাবে একাকিনী প্রান্তরের মধ্যে ঘুরিয়া বেড়াইতেছিলে,—তাহ। তোমার উদ্দেগ্রহীন আসার খেয়ালমাত্র নহে কি ?” নাতালী নতমস্তকে দাড়াইয়া রহিল। স্মিথ সাগ্রহে তাহার মুখের দিকে চাহিয়া দেখিল, তাহার মুখ রাঙ্গ হইয়া উঠিয়াছে --তাঙ্গর অধরোষ্ঠ ঈযৎ কম্পিত হইল, কিন্তু মুখে কথা ফুটিল না । গ্রিন্স রাডিশ্লভ নাতালীকে নিরুত্তর দেখিয়া পুনৰ্ব্বার বলিলেন, “রাজকুমারী, আমার প্রশ্নের উত্তর প্রার্থনা করিতেছি । সুবিচারের জন্য ইহার প্রয়োজন ; উত্তর দিতে সঙ্কুচিত হইবার কারণ নাই।” রাজকুমারী নাতালী অস্ফুট স্বরে বলিল, “তাহা আমার উদেণ্ডহীন অসার খেয়াল মাত্র ।” প্রিন্স রাডিশ্লভ পুনৰ্ব্বার বলিলেন, “রাজকুমারী, তুমি কি দয়া করিয়া বলিবে—
পাতা:বন্দিনী রাজনন্দিনী.djvu/১১৩
অবয়ব