পাতা:বভ্রুবাহন - ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Srl বভক্তবাহন । মঙ্গল চিন্তাই তোর ধৰ্ম্ম, এর অনুবৰ্ত্তিনী হওয়া-এর আদেশে আপনাকে চালিত করাই তোর কৰ্ম্ম । তুমিইতো আমাকে স্বামীপূজা করতে উপদেশ দিয়েছ। তোমার আদেশ গুরুর আদেশ জ্ঞান | করে আমি স্বামীর আরাধনা করি। নির্জনে বসে স্বামীর মঙ্গল ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি। তবে এখন এ অভিমান কেন ? এ খেদ কেন ? মনে এ ঈর্ষা কেন ? অনন্ত। স্বামীই কি তোর দেবতা হ’ল ? আর আমি জন্মদাতা-শাস্ত্ৰমতে পরম দেবতা-আকাশ হতেও উচু, তোর চক্ষে কি আমি কিছু নাই ? আমাতে কি একটা তৃণেরও উচ্চতা নেই। উলুপী । তুমি দেবতা, কিন্তু দেবতায় দেবতায় যদি ঈর্ষা দ্বেষ বিবাদ অবস্থান করে, তবে দৈত্যদানব কি অপরাধ করেছে ? তা’দের আমরা ঘৃণা করি কেন? অনন্ত। ঈর্ষা দ্বেষ কিসে দেখলি ? অৰ্জ্জুন যখন এ রাজ্যে ভ্ৰমণ করতে এল তোরই সঙ্গেতো প্ৰথমে দেখা হ’ল। কিন্তু তুই তা’কে আদর অভ্যর্থনা কিছুই না করে পথ হতে বিদেয় করে দিয়েছিলি। সে তোর সম্মুখে দাড়িয়ে তোর সৌন্দৰ্য্যের প্রশংসা করে, छुरे भूष शिबिरब प्ल शांन । উলুপী। তখন তিনি কে আর তুমি কে। তঁর সঙ্গে আমার কি সম্পর্ক ছিল। তখন তুমি দেবতা! তোমার আদেশে আমি চন্দ্ৰশেখরের পূজা করতে চলে ছিলুম। তুমি বলেছিলে একমনে চলে যাবি, পথে কা’রও সঙ্গে কথা ক’য়ে সময় নষ্ট করবিনি। অনন্ত। বেশতো, তার ফলে জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ বীরকে স্বামী পেয়েছিল। কিন্তু আমি কি করেছিলুম—তার আগমন সংবাদ পেয়ে